আমাদের মানুষদের শখের কোনো শেষ নেই। সেটা হতে পারে হাট কাটা, তাও আবার P অক্ষর দিয়ে। আপনারা হয়তো আমার বাক্যে ক্ষণিকটা কষ্ট পেয়ে থাকতে পারেন। তবে এটাই বাস্তব সত্য যে, আমরা মনের চাহিদা পূরণে প্রায় সব কাজই করে থাকি। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের ভালোবাসার স্মৃতি ধরে রাখতে অনেকে তাদের হাতে সেই প্রিয় মানুষের নামের প্রথম অক্ষর লিখে থাকে। সেটা হোক ব্লেড ব্যবহার করে কিংবা ধারালো চাকু বা অন্য অস্ত্র। যদিও এটা আমাদের শরীরের জন্য জঘন্যতম খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, তবুও সব জেনে-বুঝে আমরা উক্ত কর্ম করে থাকি।
তাহলে এটাকে কি আমি সাপোর্ট করি? মোটেও না। হয়তো কিওয়ার্ড রিসার্চের উপর ভিত্তি করে আমি আর্টিকেলটি লিখছি এবং আপনাদের কিছু ছবি দেখাচ্ছি। যদিও পূর্বে আমি R অক্ষর ও j অক্ষর দিয়ে আর্টিকেল লিখেছে। তববে এটা অবৈধ এবং অন্যায়। যাইহোক, যারা যারা P অক্ষর দিয়ে হাত কাটার ছবি দেখতে চাচ্ছেন, তাদের জ্ঞাতে আমি নিম্নে বেশ কিছু হাত কাটার ছবি তুলে ধরেছি, যেগুলো মূলত P অক্ষর দিয়েই। তাহলে চলুন এক এক করে P অক্ষর দিয়ে মানুষের হাত কাটার ছবিগুলো দেখে নিই।
P অক্ষর দিয়ে হাত কাটার ৪টি সেরা ছবি
এমনিতে সচারচর আপনি হাত কাটা পিক ইন্টারনেটে বেশি দেখবেন না। তবে আপনাদের চাহিদা মাথায় রেখে বেশ কিছু ছবি আমি নিম্নে দিলাম, যেগুলো মূলত P অক্ষর দিয়েই। যাইহোক, বিলম্ব না করে চলুন সেই পিকচারগুলো দেখে নিই-
আশা করি উপরোক্ত দেওয়া ছবিগুলো দেখে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। তবে এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের হাত কাটা ছবি রয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট করে P অক্ষর দিয়ে হাত কাটা ছবি খুব কম রয়েছে। যে বিধায়, আমার পাওয়া সবগুলো ইমেইজই আপনাদের সামনে শো করেছি। আশা করি ছবিগুলো দ্বারা উপকৃত হবেন।
বিশেষ নোট
দেখুন, আপনি হয়তো অনেক কষ্ট-বেদনায় পতিত হয়ে আপনার হাতে P অক্ষর দিয়ে নাম লিখতে চাচ্ছেন। কিন্তু একটা বিষয় স্পষ্ট ক্লিয়ার যে, এই কাজটি মোটেও ঠিক না। তাই এমতোবস্থায় আপনার করণীয় কি? অর্থাৎ আপনি কি করবেন? আসলে অনেকে অনেক ধরনের যুক্তি বা তর্ক করবে। তবে আমি এটাকে মোটেও সাপোর্ট করি না। কেন? কারণ আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন, তাহেল কখনোই আপনি এটা করতে পারেন না। আমাদের এই দেহটা মূলত আল্লাহ হতে প্রদত্ত এবং দেহটাই আল্লাহর আমানত আমাদের প্রতি। কিভাবে আমরা আল্লাহর আমানত কে নষ্ট করতে পারি কোনো রকম চিন্তা ভাবনা ছাড়াই। অথচ তিনিই আমাদেরকে বিবেক – বুদ্ধি দিয়েছেন। তাই হাত কেঁটে কারো নাম লিখার পূর্বে অবশ্যই আল্লাহকে ভয় করুণ। অন্যথায়, আখিরাতে এর শাস্তি ভোগের জন্যও আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
এটা ঠিক যে, যখন আমরা কষ্টে পতিত হই, তখন আমাদের মন ভালো থাকে না। ভালো কথাও মন্দ মনে হয়। হয়তো আমারও আজকের সাজেশন আপনার নিকট মন্দই লাগতে পারে। তবে আপনি এক সময় এই কথাগুলো রিয়ালাইজ করতে সক্ষম হবেন যে, আপনি কাজটি মোটেও ঠিক করেন নি। তখন আপসোস ব্যাতিত আর কিছুই করার থাকবে না।
আমাদের মানব দুঃখ-যন্ত্রণা ভুলে থাকার অনেকগুলো পথ রয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম হলো নামাজ পড়া এবং বেশি বেশি করে দুরুদ পড়া। এগুলোই হলো বাস্তবসম্মত অনেক উপকারী আমল। কিন্তু হাত কেটে নামের প্রথম অক্ষের লিখে কষ্ট হ্রাস করা সম্ভব না। বরং তা আরো কষ্ট বাড়িয়ে নিজের দেহের ক্ষতি করা হয়।
তাই আপনার প্রিয়তমা তথা ভালোবাসার মানুষটির নাম যদি হয় প বা P দিয়ে, তাহলে আপনি P দিয়ে হাত না কেটে জাস্ট উপরোক্ত আমলগুলো করতে পারেন। আশা করি আপনার মধ্যে আর কোনো রকম কষ্ট বা দুঃখ থাকবে না।
শেষ কথা
উপরে আমি অনেকগুলো কথাই বলেছি, তবে আপনি যদি হাত না কেটে জাস্ট P অক্ষর দিয়ে হাত কাটা ছবি দেখতে সার্চ দিয়ে থাকেন, তাহলে ঠিক আছে। উপরোক্ত কথাগুলো তাহলে আপনার জন্য নয়। আশা করি আপনি আমার কথা বোঝতে পেরেছেন।
আর সর্বপরি বলতে চাই যে, আপনি কি জন্য P অক্ষর দিয়ে হাত কাটা ইমেইজ দেখতে চান, তা আমি জানি না। তবে আমি উপরে যে ছবিগুলো দিয়েছি, আপনারা উক্ত ছবিগুলো দেখে উপকৃত হতে পারবেন আশা করি।
আমি ইকরামুল হক। শুধু মাত্র নিজের প্যাশনেট থেকে ব্লগিং করছি। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে এবং সেই সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। তারই ধারাবাহিকতায়, প্রতিনিয়ত আমার লিখনী প্রকাশ করছি দূরভাষে। সো, স্টে উইথ মি এন্ড নো মোর এন্ড গ্রো ইউর নলেজ।