ইসলামিক শিক্ষামূলক উক্তি বলতে মূলত ইসলামিক নীতিবাক্য থেকে গ্রহীত শিক্ষাকেই বোঝানো হয়। অর্থাৎ, আমরা তো দৈনন্দিন জীবনে নানা কিছু শিখে থাকি পাঠ্য বই-পস্তুক হতে। যেটাকে অনেকে সাধারণ শিক্ষা বা জেনারেল ইডুকেশনও বলে থাকে। আর ধর্মীয়ভাবে যেটা আমরা ইসলাম ধর্মের কিতাব তথা পবিত্র কোরআন ও হাদিস থেকে শিখে থাকি, সেটাকেই মূলত ইসলামিক শিক্ষা বলে।
শিক্ষা মানেই আমাদের জীবনে কাজে আসবে এমন কিছুকেই বোঝানো হয়ে থাকে। ঠিক একইভাবে ইসলামিক শিক্ষা মানেও এই অর্থ বহন করে। তবে যাইহোক, দুনিয়াবি শিক্ষা শুধুই এই দুনিয়া/পৃথিবীর কল্যাণের জন্য। অপরদিকে, ধর্মীয় তথা ইসলামিক শিক্ষাটি হয়ে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য। সুতরাং, একটু চালাক হলে আমাদের বোঝতে বাকি নেই যে, কোন শিক্ষাটি আমাদের মানব জীবনের জন্য অপরিহার্য। এখানে উল্লেখ্য যে, ইসলামিক প্রবাদ বাক্য এবং শিক্ষামূলক ইসলামিক উক্তি কিন্তু একই অর্থ বহন করে না। দু’টোর অর্থ দুই রকম।
আচ্ছা, আপনি সহ আপনার সন্তানকে কোন শিক্ষার প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত? এর উত্তর অবশ্যই হবে –ইসলামিক শিক্ষা। আমিও আপনার মতের সাথে সম্পূর্ণ একমত। এখন কিভাবে আমরা সহজেই কিছু ইসলামিক শিক্ষা পেতে পারি? অবশ্যই ইসলামিক উক্তি থেকে। এটাই হলো সবচেয়ে সহজ ও কম সময়ের উপায়। তবে আমাদেরকে জানতে হবে শিক্ষা নিয়ে ইসলামিক উক্তিগুলো। আর তারই প্রেক্ষিতে আজকের আর্টিকেলে আমরা অনেকগুলো ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে, যেগুলো সম্পূর্ণ শিক্ষা নিয়েই। যাইহোক, আলোচনা বিলম্ব না করে চলুন তাহলে শুরু করি আজকের আর্টিকেলের মূল পার্ট।
শিক্ষা নিয়ে ইসলামিক নির্দেশনা
শিক্ষা, জ্ঞান ও বুদ্ধির মূল উৎস হলেন মহান আল্লাহ তা’আলা। যুগে যুগে নবী ও রাসূলগণের মাধ্যমে মহান আল্লাহর পক্ষ হতে মানুষের কাছে শিক্ষা ও জ্ঞান পৌঁছে। মূলত মহান আল্লাহ হতে প্রাপ্ত শিক্ষা ও জ্ঞানের দ্বারা বুদ্ধির উন্মেষ ঘটে থাকে। আর এভাবেই বিকশিত বুদ্ধি দ্বারা মানুষগণ চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করতে থাকে। আর ঠিক তখনই মানুষের সামনে আল্লাহর সৃষ্টি রাজ্যে লুক্কায়িত অনেক রহস্যের দ্বার উদ্ঘাটিত হয়। অজানা বহু বিষয় সম্পর্কে মানুষ জ্ঞান লাভ করতে থাকে। সে অনেক কিছু আবষ্কিার করে এবং পৃথিবীকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে। অতএব, বলা যায় যে আল্লাহ হতে প্রাপ্ত জ্ঞান বলেই মানুষ পৃথিবীকে সুশোভিত, সুসজ্জিত এবং সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে সক্ষম হয়েছে। মহান আল্লাহ সর্বপ্রথম মানব জাতির আদি পিতা আদম (আ.)-কে সৃষ্টি রাজ্যের যাবতীয় জীবজন্তু, পশু-পক্ষী, বৃক্ষ-তরু, আসমান-যমীন, পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী, সাগর-মহাসাগর, বস্তু-পদার্থ প্রভৃতি সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান দান করেছিলেন। তাঁর মগজে আল্লাহ সকল বিষয়ের মৌলিক জ্ঞানের বীজ রোপণ করেছিলেন। আর যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় আমরা আদম সন্তানেরা আমাদের আদি পিতার মগজে রোপিত জ্ঞান উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করে থাকি। বিদ্যা শিক্ষা এবং জ্ঞান সাধনার মাধ্যমে আমাদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত এ জ্ঞানের বিকাশ ঘটে। আল্লাহর নিকট হতে সরাসরি প্রাপ্ত এ জ্ঞানের কারণেই আদম ও বনী আদম, ফেরেশতামণ্ডলী এবং সমগ্র সৃষ্টিকুলের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেছে। এজন্য এ মর্মেই মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কালামে পাকে বলেছেন,
আর তিনি আদমকে নামসমূহ সব শিক্ষা দিলেন তারপর তা ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। সুতরাং বললেন, ‘তোমরা আমাকে এগুলোর নাম জানাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’। তারা বলল, ‘আপনি পবিত্র মহান। আপনি আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের কোনো জ্ঞান নেই। নিশ্চয় আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক থেকে। পড়, আর তোমার রব মহামহিম। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষকে তা শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না।
তিনিই উম্মীদের[4] মাঝে একজন রাসূল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে, যে তাদের কাছে তেলাওয়াত করে তাঁর আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করে এবং তাদেরকে শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত। যদিও ইতঃপূর্বে তারা স্পষ্ট গোমরাহীতে ছিল।
এই কিতাব, যা আমরা তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে তুমি মানুষকে তাদের রবের অনুমতিক্রমে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আন, পরাক্রমশালী সর্বপ্রশংসিতের পথের দিকে
তিনি (মহান আল্লাহ) শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন, তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনি তাকে শিখিয়েছেন ভাষা
আপনি যদি ভালোভাবে লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখতে পাবেন যে মহান আল্লাহ তা’আলা উপরোক্ত সকল আয়তগুলো দ্বারা ইসলামিক জ্ঞান অর্জনকে উৎসাহিত করেছে। কিন্তু আপসোসের বিষয় হলো আমরা মানুষেরা এই ধর্মীয় শিক্ষা হতে প্রতিনিয়ত দূরে থাকতে চাই। তবে এখানে আশার দিক হলো আপনারা যারা যারা এই আর্টিকেলেটি পড়ছেন, তাদের সবাই ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি মনোযোগ রয়েছে। আর তা না হলে আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে এতো দূর আসতেন না।
শিক্ষামূলক ইসলামিক উক্তি
এই পর্বে আমরা শিক্ষা নিয়ে অনেকগুলো ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে জানবো ধাপে ধাপে। যেহেতু আমাদের লিস্ট/তালিকায় অনেকগুলো উক্তি বা স্ট্যাটাস রয়েছে, সেহেতু আমরা এই উক্তিগুলোকে ক্যাটাগরি ওয়াইজ ভাগ করেছি। অর্থাৎ, পাঠকদের পড়ার সুবিধার্থে প্রথমে উক্তি, এরপর স্ট্যাটাস সহ ইসলাম শিক্ষা নিয়ে কি বলে সহ অনেকগুলো পার্টে ডিভাইড করেছি। যাইহোক, চলুন সংক্ষেপে জেনে নিই শিক্ষা নিয়ে কিছু ইসলামিক উক্তি-
বান্দাদের মধ্যে কেবল জ্ঞানীরাই আল্লাহকে ভয় করে
শিক্ষা অর্জনে সূদুর চীন দেশে যেতে হলে যাও —- আল হাদিস
দু’টি নিয়ামত আছে, যে দু’টোতে অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হচ্ছে, সুস্থতা আর অবসর।—– [মুহাম্মাদ (সা)]
কৃপণ ব্যক্তি খোদা হইতে দুরে, লোকসমাজে ঘৃণিত ও দোজখের নিকটবর্তী—- আল হাদিস
“আল্লাহ তায়ালার ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন ”—- আল হাদিস
“উহাই শ্রেষ্ঠ দান যাহা হৃদয় হইতে উৎসারিত হয় এবং রসনা হইতে ক্ষরিত হইয়া ব্যথিতের ব্যথা দূর করে ”—- আল হাদিস
অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয়।—- হযরত আলী (রঃ)
অসৎ লোকের ধন – দৌলত পৃথীবিতে সৃষ্ট জীবের বিপদ – আপদের কারণ হয়ে দাঁড়া—- হযরত আলী (রঃ)
সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ—- হযরত আলী (রাঃ)
“কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে ”—- হযরত আলী (রাঃ)
উপরের সবগুলোই হলো মূলত শিক্ষা নিয়ে ইসলামিক উক্তি বা স্ট্যাটাস। আপনারা আপনাদের দৈনন্দিন কাজে বা কথপোকথনে এই উক্তিগুলো ব্যবহার করতে পারেন কোনো রকম দ্বিধা ছাড়াই। যাইহোক, উপরের দেওয়া তালিকা হতে যদি আপনি একটিও উক্তি ভালো না লাগে, তাহলে দয়া করে নিম্নে দেওয়া উক্তিগুলো পড়ে দেখুন, আশা করি সেগুলো ভালো লাগবে।
শিক্ষা নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস
উপরে তো আমরা শিক্ষা নিয়ে অনেকগুলো উক্তি জেনেছি, এবার জানবো শিক্ষা নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস সম্পর্কে। শিক্ষা নিয়ে ইসলামিক ’স্ট্যাটাস’ বা ’উক্তি’ অথবা ’কথা’ একই অর্থ বহন করে। জাস্ট পাঠকদের পড়ার সুবিধার্থেই আমি পার্ট বাই পার্ট সাজিয়েছি। দেখুন, আমরা এই সোস্যাল মিডিয়ার যুগে এসে ইসলামিক স্ট্যাটাসগুলোকে কোনো ভাবেই অবেজ্ঞা করতে পারি না। যদি আমরা একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি হয়ে থাকি, তাহলে অবশ্যই প্রযুক্তির সৎ ব্যবহার করা শিখতে হবে। আর এই অন্যতম একটা উপায় হলো মানুষের পারিপার্শিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে শিক্ষামূলক ইসলামিক উক্তিগুলো তুলে ধরা। আর এটা তখনই পারবেন, যখন আপনার নিকট শিক্ষামূলক ইসলামিক উক্তিগুলো থাকবে। আর এই জন্যই আমি শিক্ষামূলক উক্তিগুলো তুলে ধরছি। চলুন আরো কিছু উক্তি জেনে নিই-
“শিক্ষা অর্জনে সূদুর চীন দেশে যেতে হলে যাও ”—- আল হাদিস
“সত্য লোকের নিকট অপ্রিয় হইলেও তাহা প্রচার কর ”—- আল হাদিস
“সন্তান তাঁর নামে পরিচিত হবে যার শয্যায় সে ভূমিষ্ঠ হয়েছে ,,, ”—- আল হাদিস
“সত্যবাদীরা সুকর্মের পথ দেখায় আর সুকর্ম বেহেশতের পথ দেখায় ”—- আল হাদিস
“যে-ব্যক্তি বাক্যে কর্মে ও চিন্তায় সত্য নয়, সে প্রকৃত প্রস্তাবে সত্যনিষ্ঠ নহে ”—- আল হাদিস
“জুলুম ও অত্যাচারী লোক কিয়ামতের দিন অন্ধ হইয়া উঠিবে ”—- আল হাদিস
“রমজান জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ ”—- আল হাদিস
“উহাই শ্রেষ্ঠ দান যাহা হৃদয় হইতে উৎসারিত হয় এবং রসনা হইতে ক্ষরিত হইয়া ব্যথিতের ব্যথা দূর করে ”—- আল হাদিস
“রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত ”—- আল হাদিস
“ধণী হওয়া ধনের উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে মনের তৃপ্তির উপর ”—- আল হাদিস
“ধনের যদি সদ্ব্যবহার করা হয়, তবে ইহা সুখের কারণ এবং সদুপায়ে ধনবৃদ্ধি করিতে সকলেই বৈধভাবে চেষ্টা করিতে পারে। ”—- আল হাদিস
“সালাত জান্নাতের চাবি ”—- আল হাদিস
আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন। হযরত মোহাম্মদ (সঃ
অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না, সকলকেই সে নিজের মতো ভাবে ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“যে নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ ”—- হযরত আলী (রাঃ)
উপরের যে শিক্ষা মূলক ইসলামিক স্ট্যাটাসগুলো পড়েছেন, সেখানে হতে আপনার মনের উপর ভিত্তি করে কিছু নোট করে রাখতে পারেন। যাতে করে আপনার পরিবেশের উপর ভিত্তি করে সেগুলোকে উপস্থাপন করতে পারেন।
শিক্ষা নিয়ে ইসলামিক কথা
শিক্ষা নিয়ে ইসলামিক কথা বলতে মূলত সংক্ষেপে আলোচনাকেই বোঝানো হয়েছে। যাইহোক, এই পর্বে আমরা শিক্ষা সক্রান্ত যত কথা আছে, অবশ্যই সেটা ইসলামিক কথা, সবগুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আর সেই শিক্ষা মূলক ইসলামিক কথা দ্বারাই আশা করি আপনারা উপকৃত হতে পারবেন। যাইহোক, আলোচনা বিলম্ব না করে চলুন জেনে নিই শিক্ষা নিয়ে ইসলামিক কিছু কথা-
“আল্লাহ তায়ালার ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন ”—- আল হাদিস
“তোমরা দ্বীনের দাওয়াত সহজ করো, কঠিন করো না। সুসংবাদ দাও, বিতশ্রদ্ধ করো না ”—- আল হাদিস
“রমজান আল্লাহ ও বান্দার মাঝে নিতান্ত গোপন ইবাদত তাই এর মাধ্যমে আল্লাহ ও বান্দার মাঝে সম্পর্ক দৃঢ়তর হয় ”—- আল হাদিস
“দারিদ্র্যের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করো। কেননা ইহার অভিশাপ মানুষকে কাফেরে পরিনত করে। ”—- আল হাদিস
“পার্থিব বস্তুর আধিক্যকে ধন বলা যায় না। মানসিক সন্তোষই প্রধান ধন। ”—- আল হাদিস
“তোমরা তোমাদের কথা গোপনে বল অথবা প্রকাশ্যে বল, তিনিতো ( আল্লাহ) অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক অবগত ”—- আল হাদিস
“ঈমান না এনে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা ”—- আল হাদিস
“রমজান সামাজিক সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব বোধ সৃষ্টি করে ”—- আল হাদিস
“রোজার মাধ্যমে আচার-আচরণ ও চরিত্র সুন্দর হয় ”—- আল হাদিস
“রোজা কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তির জন্য শুপারিশকারী হবে ”—- আল হাদিস
“রমজান জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল ”—- আল হাদিস
“রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয় ”—- আল হাদিস
“যে ব্যক্তি মানুষকে দয়া করে না, আল্লাহ তায়ালা তাহার উপর রহমত বর্ষণ করে না ”—- আল হাদিস
“তোমরা মদপান থেকে বিরত থাক। কেননা এটি যাবতীয় অপকর্মের চাবি। ”—- আল হাদিস
“রমজান আল্লাহর ইবাদতের এক অভূতপূর্ব ট্রেনিং স্বরুপ ”—- আল হাদিস
“রোজা মানুষকে আখেরাত মুখী করে ”—- আল হাদিস
“রোজার পুরষ্কার আল্লাহ নিজ হাতে প্রদান করবেন ”—- আল হাদিস
কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে ”—- হযরত আলী (রাঃ)
উপরের সবগুলো কথাই ছিল মূলত শিক্ষা মূলক। আশা করি এই উপরে দেওয়া উক্তিগুলো আপনাদের জীবনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। আমরা যেহেতু প্রায় সবাই ফেজবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সহ নানা ধরনের সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি, সেক্ষেত্রে আমরা এই শিক্ষা নিয়ে ইসলামিক উক্তিগুলো এই সব সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করতে পারি। এতে করে ধর্ম প্রচারও হলো এবং আপনার দেওয়া মেসেজটাও পাঠাতে পারলেন। তবে এটা অনেকটা ইসলামিক শিক্ষার মতোই। তাহলে শিক্ষা নিয়ে ইসলাম কি বলে? চলুন তাহলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
শিক্ষামূলক ইসলামিক উক্তি নিয়ে শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলে আমরা ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছি শিক্ষামূলক ইসলামিক উক্তি নিয়ে। আশা করি সবগুলো শিক্ষা মূলক উক্তিই আপানাদের নিকট ভালো লেগেছে। এরপরও যদি এই নিয়ে আপনাদের মাঝে কোনো দ্বিধা-দন্ধ থাকে, তাহলে নিম্নে আর্টিকেলে কমেন্টবক্সে কমেন্ট করতে পারেন।
যাইহোক, আলোচনার শুরুতে বলেছিলাম যে, আজকের আর্টিকেলটি মূলত শিক্ষায় আগ্রহ আছে এমন ব্যক্তিদের জন্যই। ঠিক সেই কথা অনুযায়ী আর্টিকেলের লাস্ট পর্যায়ে চলে আসছি। যাইহোক, এরকম নতুন নতুন আর্টিকেল চাইলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আমি ইকরামুল হক। শুধু মাত্র নিজের প্যাশনেট থেকে ব্লগিং করছি। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে এবং সেই সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। তারই ধারাবাহিকতায়, প্রতিনিয়ত আমার লিখনী প্রকাশ করছি দূরভাষে। সো, স্টে উইথ মি এন্ড নো মোর এন্ড গ্রো ইউর নলেজ।