পাওয়ার ব্যাংক বা Power Bank, দুটির শাব্দিক অর্থ একই। বর্তমান ২০২৪-২৫ সালে এসে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় পাওয়ার ব্যাংক এর চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে। এখন কথা হলো পাওয়ার ব্যাংক আসলে কী? এটা কিভাবে আমাদের উপকারে আসতে পারে? অথবা কাজ করে কিভাবে? কিংবা এর কোনো রকম ক্ষতিকারক দিক আছে কি-না? এরকম যাবতীয় সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর নিয়েই মূলত আজকের আর্টিকেলটি। এখানে আপনাকে নির্দিষ্ট করে কোনো একটি পাওয়ার ব্যাংককে সাজেস্ট করবো না। এই নিয়ে ডেডিকেটেডভাবে আমাদের সাইটে আমরা আর্টিকেল পাবলিশ করছি। আপনারা সখানে গিয়ে সার্চ করতে পারেন। যাইহোক, পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে থাকা যত প্রশ্ন আছে, সবগুলোর উত্তর এক এক করে চলুন জেনে নিই।
আপনাকে যদি সংজ্ঞার মাধ্যমে সংক্ষিপ্তে বলি, তাহলে পাওয়ার ব্যাংক হলো মূলত বহনযোগ্য ব্যাটারি, যা আপনাকে যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট অথবা ল্যাপটপের মতো ইলেকট্রিক ডিভাইসগুলোকে চার্জ করতে সহায়তা করে।
ব্যবহারের মাত্রার উপর নির্ভর করে একটি পাওয়ার ব্যাংক এর আয়ুষ্কাল সাধারণত কয়েক মাস হতে কয়েক বছর অবধি হয়ে থাকে। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে পাওয়ার ব্যাংক এর ব্র্যান্ড এবং ব্যবহারের উপর।
কল্পনা করুণ তো, ধরুন আপনি এমন কোথাও গিয়েছেন, যেখানে মানব বসতি তেমন নেই অথবা আপনি একজন এডভ্যান্সার/ট্রাবেলার। আপনার অন্তিম মূহর্তে সেই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস তথা মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেছে। তখন আপনার কেমন বোধ হবে? অথবা আপনার অনুভূতি কেমন হবে? অবশ্যই বিভ্রান্তিকর? আর ঐ মূহর্তেই আপনার সাথে থাকা পাওয়ার ব্যাংকটি দিয়ে শখের মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপের চার্জ সম্পূর্ণ করতে পারবেন। আশা করি এখন আপনাদের কোনো রকম সমস্যা নেই পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে। অর্থাৎ, পাওয়ার ব্যাংক কি অথবা এটা আমাদের কি ধরনের কাজে লাগে, এই বিষয়ে মোটামোটি একটি ধারণা পেয়েছেন। এবার চলুন পাওয়ার ব্যাংক সম্পর্কিত অন্যান্য প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিই।
পাওয়ার ব্যাংক কিভাবে কাজ করে?
বর্তমানে যত কোম্পানির পাওয়ার ব্যাংক রয়েছে, মূলত সবগুলো এক মডিউলেই কাজ করে। প্রায় সবগুলো পাওয়ার ব্যাংকে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করে থাকে। সেই লিথিয়া-আয়ন ব্যাটারিতে চার্জের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক শক্তি সঞ্চয় করে রাখে। পরোক্ষণে এটি মোবাইল বা ল্যাপটপকে প্রাদানের মাধ্যমে চার্জ করে। মূলত এভাবেই পাওয়ার ব্যাংকগুলো কাজ করে থাকে। এখানে তো আমি সংক্ষিপ্তভাবে বোঝিয়েছি। পাঠকদের বোঝার সুবিধার্থে বৈজ্ঞানিক কারণ এখান উল্লেখ করি নি।
আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, বর্তমানে যতগুলো স্মার্টফোন বাজারে আছে, প্রায় সবগুলোতেই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিই ব্যবহার করে। যে বিধায় এক লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি থেকে অন্য লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে ইলেকট্রনিক শক্তি ট্রান্সফার করতে পারে বেশ সহজেই। এখান অবশ্যই ব্যাটারিই মূল বিষয় না। এর পাশাপাশি রয়েছে পাওয়ার ব্যাংক এর সার্কিট। পাওয়ার ব্যাংক এর সার্কিট বেশ বড় একটি বিষয়। সার্কিট ভালো না হলে আপনার পাওয়ার ব্যাংক এর কাজের গতি একদম নিম্ন মানের হবে। আবার সার্কিট ভালো হলে পাওয়ার ব্যাংক অনেক স্মুথ কাজ করবে। পাওয়ার ব্যাংক ক্রয় করার পূর্বে অবশ্যই উল্লেখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবেই। পাওয়ার ব্যাংক সম্পর্কিত আরো তথ্য জেনে নিই।
পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করার নিয়ম
পাওয়ার ব্যাংক কি অথবা পাওয়ার ব্যাংক কিভাবে কাজ করে, তা ইতিমধ্যে জেনে গেছি। এখন জানবো পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম। আচ্ছা, ধরুন আপনি একটি পাওয়ার ব্যাংক কিনলেন এবং সেটা বাড়িতে/রুমে নিয়ে আসলেন, কিন্তু এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, সেটি জানেন না। এখন আপনার মনোভাবে কেমন হবে? অবশ্যই ভালো হবে না। তাই না? এখানে লক্ষ্যণীয় একটি বিষয় হলো সবগুলো পাওয়ার ব্যাংকের ব্যবহার নীতি প্রায় একই রকম। অর্থাৎ, এখন অবধি যতোগুলো পাওয়ার ব্যাংক আবিষ্কার হয়েছে, তাদের সবগুলোই মোটামোটি একই স্টাইলে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সেই পদ্ধতিটা কি? চলুন জেনে নিই পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করার নিয়ম-
সত্যিকার অর্থে, পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা একদম সহজ। তাহলে কিভাবে ব্যবহার করবেন? এর জন্য প্রথমে আপনাকে পাওয়ার ব্যাংকটিকে সম্পূর্ণ চার্জ করে নিবেন। চার্জ সম্পূর্ণ হলে চার্জ থেকে এটিকে খুলে ফেলুন। তারপর আপনার যে ডিভাইস তথা মোবাইলে অথবা ল্যাপটপে চার্জ করা দরকার, সেটিকে এটির সাথে ক্যাবল এর মাধ্যমে কানেক্ট করুন। ব্যাজ, এতোটুকুই। এখন দেখুন আপনার মোবাইলে চার্জ হচ্ছে। আর এভাবেই আপনারা চাইলেই পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে আপনাদের হাতের কাছে থাকা যেকোনো ডিভাইস চার্জ করতে পারেন।
পাওয়ার ব্যাংক এর প্রকারভেদ
দেখুন, পাওয়ার ব্যাংক এর প্রকারভেদ আপনি বা আমি দু’এক ভাবে করতে পারবো না। কেননা, অসংখ্য জিনিসের উপর ভিত্তি করে আপনি পাওয়ার ব্যাংককে ভাগাভাগি করতে পারেন। তাই পাওয়ার ব্যাংক এর প্রকারভেদ বলতে এখানে ব্যাটারি,সাইজ ইত্যাদিকে প্রাধান্য দিয়েছি। তাহলে চলুন দেখে নিই পাওয়ার ব্যাংক এর প্রকারভেদগুলো-
পাওয়ার ব্যাংক এর ব্যাটারি
সাধারণত, পাওয়ার ব্যাংক এর ব্যাটারিকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। অর্থাৎ, একটি হলো লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি আর অন্যটি হলো লিথিয়ান পলিমার ব্যাটারি। যত ধরনের পাওয়ার ব্যাংক আছে, প্রায় সবগুলোতে এই দু’ধরনের ব্যাটারিই ব্যবহার করা হয়। এখন কথা হলো, কোনটার কি সুবিধা? লিথিয়ান আয়ন ব্যাটারি মূলত একটি প্লাস্টিকের কেসে থাকে। যার বেশি রক্ষণাবেক্ষণ এর প্রয়োজন পড়ে না। রক্ষণাবেক্ষণ এর তুলনায় এর শক্তি অনেক।
আর অন্যটি হলো লিথিয়ান পলিমার ব্যাটারি। এটির ক্ষেত্রে ক্ষণিকটা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন পড়ে। আর অন্য ফিচারগুলো লিথিয়ান আয়ন ব্যাটারির মতোই। মূলত এই দুই ব্যাটারি মধ্যে তেমন পার্থক্য থাকে না।
পাওয়ার ব্যাংক এর সাইজ
পাওয়ার ব্যাংককে সাধারণত দু’টি সাইজে ডিফাইন্ড করা যায়। একটি হলো মিনি পাওয়ার ব্যাংক, যেটাকে আমরা পকেট পাওয়ার ব্যাংক বলেও অবিহিত করি। আর আরেকটা হলো লার্জ পাওয়ার ব্যাংক। পাওয়ার ব্যাংক এর প্রকারভেদের মধ্যে সাইজ হলো অন্যতম একটি ফ্যাক্টর।
এমনিতে আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মিনি পাওয়ার ব্যাংককেই পছন্দ করে থাকি। এছাড়াও বাসা-বাড়িতে ব্যবহারের দিক থেকে আবার লার্জ পাওয়ার ব্যাংককে প্রিপার করি। যাইহোক, মিনি এবং লার্জ, ক্ষেত্র বিশেষে দুটির রয়েছে ইউনিক সুবিধা। তাই, ক্ষেত্র বিশেষে দু’টি পাওয়ার ব্যাংকই সেরা এবং দুটির সুবিধা একজন ব্যক্তিকে চমৎকৃত করতে বাধ্য।
টাইপ অব পাওয়ার ব্যাংক
পাওয়ার ব্যাংককে সাধারণত দু’টি টাইপে ডিভাইড করা হয়েছে। একটি হলো চার্জিং পাওয়ার ব্যাংক আর অন্যটি হলো সোলার পাওয়ার ব্যাংক। এখন চলুন এই দুই টাইপের পাওয়ার ব্যাংক সম্পর্কে ডিটেইলস জেনে নিই-
চার্জিং পাওয়ার ব্যাংক
সহজে বললে চার্জিং পাওয়ার ব্যাংক হলো চার্জের মাধ্যমে যে পাওয়ার ব্যাংকগুলো চালিত হয়, সেগুলোকেই চার্জিং পাওয়ার ব্যাংক বলে। যদিও দিন দিন এইসব চার্জিং পাওয়ার ব্যাংকগুলোর চাহিদা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। যাইহোক, একটি চার্জিং পাওয়ার ব্যাংকে সাধারণত চার্জ দেওয়ার জন্য এক বা একাধিক চার্জি ইউএসবি USB Port পোর্ট থাকে। যা দ্বারা একটি চার্জারের মাধ্যমে পাওয়ার ব্যাংকটিকে চার্জ দেওয়া হয়। এটাই মূলত সংক্ষেপে চার্জিং পাওয়ার ব্যাংক এর ব্যাখ্যা।
সোলার পাওয়ার ব্যাংক
সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সূর্য থেকে শক্তি সঞ্চয় করে যে পাওয়ার ব্যাংক চার্জ হয় বা ইলেকট্রনিক শক্তি সঞ্চয় করে, সেটিকেই সোলার পাওয়ার ব্যাংক বলে। বর্তমানে সোলার পাওয়ার ব্যাংকগুলো দিন দিন অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় এবং চার্জ দিতে কোনো রকম প্যারা না থাকায় আমাদের অধিকাংশের পছন্দের তালিকার শীর্ষে এখন সোলার পাওয়ার ব্যাংক। এখন চলুন সোলার পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে পাঠকদের কমন কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানা যাক-
সোলার পাওয়ার ব্যাংকে চার্জ দেওয়া যাবে কি?
অবশ্যই চার্জ দেওয়া যাবে। একটি সোলার পাওয়ার ব্যাংককের মধ্যে দু’ধরনের সুবিধাই থাকে। অর্থাৎ, সোলার পাওয়ার ব্যাংকেও USB Charging Port থাকে। যাতে করে ব্যবহারকারী চার্জ দিতে পারে।
সোলার পাওয়ার ব্যাংকের অসুবিধা?
সোলার পাওয়ার ব্যাংক এর অসুবিধা হিসেবে যে জিনিসটি উল্লেখ্য, সেটি হলো এটির সোলার প্যানেলগুলো খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এবং সোলার প্যানেলের মাধ্যমে চার্জ হতে তুলনামূলক সময় লাগে বেশি।
সোলার পাওয়ার ব্যাংক কেন বেছে নেব?
বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে চার্জ দেওয়ার প্যারা কমানোর জন্য সোলার পাওয়ার ব্যাংক বেচি নেব। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ আসে আর যায়। এছাড়াও যারা যারা ট্রাবেল করতে পছন্দ করে, তাদের জন্যও এটি বেস্ট চয়েজ।
সোলার পাওয়ার ব্যাংক কিভাবে নির্বাচন করব?
সোলার পাওয়ার ব্যাংক চয়েজের ক্ষেত্রে আপনি সোলার প্যানেল, ব্যাটারি টাইপ ও ব্যাটারির MAH কে প্রাধান্য দিতে পারেন।
কিভাবে ভালো পাওয়ার ব্যাংক পছন্দ করবেন?
পছন্দের ক্ষেত্রে পাওয়ার ব্যাংককের সৌন্দর্য কিংবা চাকচিক্বতাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয়। পাওয়ার ব্যাংকের ব্র্যান্ড সহ ব্যাটারি, সোলার প্যানেল, চার্জিং পোর্ট সহ ইত্যাদিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
সেরা ১০টি পাওয়ার ব্যাংক এর নাম
উপরে আমরা পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিভাবে বোঝবেন একটি পাওয়ার ব্যাংক ভালো নাকি খারাপ, ব্যাটারি ধরণ, এর কাজ করার মডিউল সহ ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছি। উপরের তথ্যগুলোর প্রেক্ষিতে এখন জানবো বর্তমানে সেরা দশটি পাওয়ার ব্যাংক সম্পর্কে। যেগুলো মার্কেটে অনেক জনপ্রিয় এবং বেশ কাজেরও বটে। আর সেই পাওয়ার ব্যাংকগুলো হলো-
- Samsung 25W 10,000 mAh Wireless Battery Pack
- Xiaomi PB100DZM 22.5W 10000mAh Fast Charging Power Bank
- Remax RPP-292 20000mAh 22.5W PD+QC Power Bank
- Walton P22W01 Power Bank
- Mophie Juice Pack (2,400mAh)
- Anker 511 Power Bank (5,000 mAh)
- Anker 313 Power Bank (10,000mAh)
- Nimble Champ (10,000mAh)
- Biolite Charge 40 PD (10,000mAh)
- Anker Nano (5,000mAh)
উপরে দেওয়া দশটি পাওয়ার ব্যাংক হলো বর্তমানে মার্কেট কাপানো ব্র্যান্ড। যদিও এখানে গুটিকয়েক দেশি ব্র্যান্ডকেও প্রোমোট করেছি। তবে ব্যাপার না। উপরোক্ত পাওয়ার ব্যাংকগুলোর ব্যান্ডকে আপনারা ফলো করতে পারেন। এখানে রেন্ডমলি কয়েকটি মডেলকে উল্লেখ করেছি। তবে আপনার প্রয়োজন অনুসারে মডেল চেঞ্জ করতে পারেন। তবে উল্লেখিত কোম্পানির পাওয়ার ব্যাংকগুলো বেশ ভালো ও কার্যকারী। কোনো রকম দ্বিধা ছাড়াই আপনারা ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারন।
পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করার উপকারীতা
অবশ্য ইতিমধ্যে আপনারা জেনে যাওয়ার কথা যে, পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি কিভাবে উপকৃত হতে পারে সে সম্পর্কে। অর্থাৎ, পাওয়ার ব্যাংক এর উপকারিতা সম্পর্কে। যাইহোক, নতুনদের জন্য হলেও এখানে আমি গুটি-কয়েক উপকারিতার পয়েন্ট তুলে ধরছি, যেগুলো একজন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারকারী পেতে পারে খুব সহজেই। পাওয়ার ব্যাংক এর উপকারিতাগুলো হলো-
- যেকোনো সময় আপনার মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা টেবলেটকে চার্জ করতে পারেন।
- যেকোনো জায়গা থেকে আপনার ডিভাইসকে চার্জ করতে পারেন।
- দামে সাশ্রয়ী
- সোলারের মাধ্যমেও চার্জ দিতে পারবেন। এতে করে আপনার টাকা কম ব্যয় হবে।
- পকেটে নিয়ে যেকোনো জায়গায় যেতে পারবেন।
- একটি ডিভাইসকে কয়েকবার চার্জ দিতে পারবেন।
- লাইটিং এর সুবিধা থাকে, এতে করে লাইট ক্রয়ের ঝামেলা এড়ানো যায় সহ ইত্যাদি
এখানে আমি খুব অল্প সংখ্যক সুবিধা কথা তুলে ধরেছি। তবে একজন ব্যবহারকারী ব্যবহারের মাধ্যমে পাওয়ার ব্যাংক এর অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারে। যাইহোক, এবার চলুন কিছু অসুবিধার কথা জানা যাক।
পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করার ক্ষতিকারক দিক
পৃথিবীতে থাকা সব কিছুরই সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। তেমনি পাওয়ার ব্যাংক ও এর বাহিরে না। এর সুবিধা এবং অসুবিধা উভয় রয়েছে। যাইহোক, চলুন পাওয়ার ব্যাংক এর অসুবিধা বা ক্ষতিকর দিকগুলো জানা যাক। পাওয়ার ব্যাংক এর ক্ষতিকারক দিক হলো-
- চার্জের প্রয়োজন পড়ে। এতে করে বিদ্যুৎ খরচ হয়।
- বোঝে-শুনে ক্রয় করতে না পারলে ডুপ্লিকেট পাওয়ার ব্যাংকগুলো খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
- তুলনামূলক কিছুটা ব্যয়বহুল বা দামী হয়ে থাকে পাওয়ার ব্যাংকগুলো।
- কম দামী পাওয়ার ব্যাংকগুলোর ব্যাটারি খুব সহজেই ডাউন হয়ে যায়।
- সোলার প্যানেল খুব সহজেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে সহ ইত্যাদি
উপরোক্ত পয়েন্টগুলোই হলো একটি পাওয়ার ব্যাংক এর কমন কিছু অসুবিধা। তবে এগুলো ছাড়াও আরো অনেক অসুবিধা রয়েছে। যা একজন রিয়েল পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারকারী সম্মুখীন হয়। যাইহোক, সব কিছুর সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।
পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে শেষ কথা
Power Bank তথা পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে তেমন কোনো আর কথা নেই। তবে আশা করি আপনারা পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে সম্পূর্ণ ডিটেইলস জানতে পেরেছেন। তারপর যদি পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে কোনো রকম প্রশ্ন কিংবা দ্বিধা থাকে, তাহলে দূরভাষ এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। যদিও এরকম কোনো দ্বিধা থাকা কোনো কথা নয়। কেননা আজকের আর্টিকেলে আমরা পাওয়ার ব্যাংক কি সহ এর যাবতীয় যত ধরনের প্রশ্ন আছে, সবগুলোর উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আরো অনেক আলোচনা হয়েছে। আশা করি আজকের আর্টিকেলের আলোচনা থেকে একজন পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারকারী চমৎকারভাবে উপকৃত হতে পারবে।
আমি ইকরামুল হক। শুধু মাত্র নিজের প্যাশনেট থেকে ব্লগিং করছি। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে এবং সেই সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। তারই ধারাবাহিকতায়, প্রতিনিয়ত আমার লিখনী প্রকাশ করছি দূরভাষে। সো, স্টে উইথ মি এন্ড নো মোর এন্ড গ্রো ইউর নলেজ।