ধান বিক্রির আবেদন ২0২৩-২0২৪

ধান বিক্রির আবেদন
ধান বিক্রির আবেদন

ধান বিক্রির আবেদন কোথায় করা যায় কিংবা কিভাবে করতে হয়, এরকম প্রশ্ন একজন কৃষকের নিকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। যাইহোক, কৃষিপ্রধান আমাদের বাংলাদেশে কৃষকদের সুবিধা দিতে এবং তাদের নায্য মূল্য পরিশোধের লক্ষ্যেই বাংলাদেশ সরকার অনলাইনে কৃষকদের ধান বিক্রির সুবিধা তৈরি করেছে।

আচ্ছা, এখানে হয়তো অনেকে প্রশ্ন করতে পারে যে, বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যেভাবে আবেদন করে, ধান বিক্রির জন্যও কি সেইমভাবে আবেদন করতে হবে? আসলে সেরকম কিছুই নয়। এটাতে জাস্ট আপনাকে তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদনটি কমপ্লিট করতে হবে। আর এটি সম্পর্কেই আজকে আমি বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করবো। কোথায় আবেদন করবেন, আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে এবং কিভাবে করবেন, এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাহলে চলুন এবার তা বিস্তারিত জেনে নিই।

ধান বিক্রির আবেদন এর ধাপসমূহ

ধান বিক্রির আবেদন করার পূর্বে আমাদের কিছু তথ্য জানা অতীব জরুরী। সরকার এখানে একজন কৃষকের জমির পরিমাণের উপর ভিত্তি করে ধান ক্রয় করে থাকে। অর্থাৎ আপনার মোট জমির পরিমাণের উপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল ধান ক্রয় করবে সরকার। এর বেশি ধান নিবেন না।

 এখন হয়তো প্রশ্ন করবেন যে, কত টাকা প্রতি কুইন্টান? গত বছর সরকার ২,০৪০ টাকায় ধান ক্রয় করেছেন কৃষকদের থেকে। কিন্তু এবছর তা থেকে বাড়িয়ে ২,১৮৩ টাকায় ধান কিনবেন। এজন্য কৃষককে যেতে হবে নিকটস্থ যেকোনো ধান কেন্দ্রে। তবে আপনি যদি স্থায়ী ধানকেন্দ্রগুলোতে গিয়ে ধান বিক্রি করতে পারেন, তাহলে সেখানে ২,২০৩ টাকা পাবেন প্রতি কুইন্টালে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখানে উল্লেখ্য যে, ধান কেন্দ্রে অবশ্যই পরিষ্কার শুকনো ধান ও রোগমুক্ত ধান নিয়ে আসতে হবে।

এখন কিভাবে আমরা ধান বিক্রির জন্য আবেদন করবো? আবেদন করার পূর্বে প্রয়োজনীয় কি কি তথ্য বা ডকুমেন্টস লাগবে, তা জেনে নিই-

  • এনআইডি কার্ড
  • আধার কার্ড
  • জমির খতিয়ান
  • ব্যাঙ্ক পাশ বই এর প্রথম পাতা।

ধান বিক্রির আবদেন করার নিয়মঃ

  • প্রথমে যেকোনো একটি ব্রাউজারে প্রবেশ করে epaddy লিখে সার্চ করতে হবে।
  • এরপর epaddy এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে Farmer অপশানে ক্লিক করতে হবে।
  • এবার উপরে দেখুন Farmer Self Registration নামে একটি অপশান রয়েছে। আপনি জস্ট সেখানে ‍ক্লিক করুন।
  • এখন আপনার সামনে ক্রমান্বয়ে বেশ কিছু অপশানে চলে আসবে ফর্ম আকারে। সেখানে আপনি আপনার ভোটার এনআইডি কার্ডের নাম্বারটা সঠিকভাবে দিয়ে দিন। এরপর আপনার জমির পরিমাণ দিয়ে দিন।
  • এবার আপনি আপনার আধার কার্ড নাম্বার দিয়ে ভেরিফিকেশন করে নিন।
  • ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হলে আপনার নিকট হতে বেশ কিছু তধ্য চাইবে। যা ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। সেখানে আপনি সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন।
  • এবার আপনার ঠিকনা, ফোন নাম্বার সহ প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সকল তথ্য সাবমিট করুন।
  • আপনারা যে পূর্বে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন, সেখানে একটি ব্যাংক ডিটেইলস জমা দিয়েছিলেন, ঠিক এখানেও সেই ব্যাংক ডিটেইলস অ্যাড করুন।
  • উপরোক্ত সকল তথ্য প্রোভাইড করার পর আপনার রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট হয়ে যাবে এবং ধান বিক্রির জন্য আপনার অনলাইন আবেদন পূর্ণ হবে।

এবার থেকে আপনি আপনার চাষকৃত ধানগুলো আপনি বাংলাদেশ সরকারের নিকট বিক্রি করতে পারেন। এবং সেই সাথে কৃষকদের নায্য মূল্যও তারা বোঝে পাবে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আমাদের তথা বিশেষ করে কৃষকদের নিকট খুব ভালো লেগেছে।

Leave a Comment