আপনি যদি ফিজিক্যালি ঢাকা জিগাতলা আবাসিক হোটেল খুঁজেন, তাহলে লোকাল, প্রিমিয়াম সহ নানা ধরনের আবাসিক হোটেল পাবেন। কিন্তু কোন আবাসিক হোটেলটি আপনার জন্য বেস্ট হবে, সেটি বোঝতে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ব্যর্থ হই। যাইহোক, আজকের আর্টিকেলে আমরা ঢাকা জিগাতলা আবসিক হোটেল এর লিস্টের মাধ্যমে কয়েকটি হোটেল সম্পর্কে জানবো।
বিস্তারিত জানুন: খিলক্ষেত আবসিক হোটেল সহ মোহাম্মদপুর হোটেল সম্পর্কে বিস্তারিত।
দৈনন্দিন প্রয়োজনে আমরা অনেক সময় জিগাতলায় আসতে হয়। এবং প্রয়োজনবোধে সেখানে থাকতেও হয়। আর তখনই আমাদের বিশ্রাম ও রাত্রি যাপনের জন্য একটি হোটেল এর প্রয়োজন হয়। কিন্তু কথা হলো কেমন আবাসিক হোটেল আপনার প্রয়োজন? অর্থাৎ কোন ধরনের? লোকাল নাকি প্রিমিয়াম। আমি জানি, এখন অধিকাংশ বলবে লোকাল! তবে যদি আপনি আমার থেকে পরামর্শ নিতে চান, তাহলে বলবো একটু সামান্য টাকা বাঁচানোর জন্য লোকাল রিস্কি টাইপের আবাসিক হোটেলে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। সুতরাং, সামান্য টাকা বেশি ব্যয় হলেও চেষ্টা করুন জিগাতলার ভালো ও ফাইভ স্টার টাইপের হোটেলগুলোতে থাকার। এখানে আপনি রিস্ক ফ্রী থাকবেন এবং সেটা নিশ্চিন্তে।
ঢাকা জিগাতলা আবাসিক হোটেল এর তালিকা
জিগাতলা আবাসিক হোটেল এর তালিকাটি দেখার পূর্বে আমাদের কিছু তথ্য জেনে নেওয়া উচিত। যেমন- এখানে আমি যে আবাসিক হোটেলগুলো তুলে ধরেছি, এর প্রায় সবগুলোই হলো প্রিমিয়াম আবাসিক হোটেল। কিছুটা প্রিমিয়াম হোটেল এর ন্যায়। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, কেন জিগাতলায় আবাসিক রেস্তোরোয়া বা হোটেল নেওয়া উচিত নয়? অনেক ভালো প্রশ্ন, তবে এর উত্তর আমি তালিকাটির নিম্নে দিয়েছি। এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে নিম্নে স্ক্রল করে উত্তরটি জেনে নিন। এখন আসুন, হোটেল আর তালিকাটি দেখে নিই-
জিগাতলা আবাসিক হোটলের নাম | যোগাযোগ |
HOTEL MUNA International Residential | 01784-011232 |
Hotel Grand Royal | 01958-488160 |
Hotel New Kalabagan | 01715-635354 |
উপরে আমি এখানে টোটাল ৩টিা আবাসিক হোটেল এর নাম তুলে ধরেছি মোবাইল নাম্বার সহ। আপনি এখান হতে যেকোনো একটি হোটেল চয়েজ করতে পারেন জিগাতলা আবসিক হোটেল হিসেবে। এখন হয়তো আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে, কেন আমরা একটু প্রিমিয়াম টাইপের হোটেল ভাড়া করবো? এর অনেক কারণ আছে। আমি জানি এখানে অনেকের তাদের ভাড়া বহন করার মতো চাকরি প্রার্থী খুব কম। যে বিধায় জিগাতলা প্রিমিয়াম হোটেলগুলোতে থাকতে অনেকে ভয় পায়। ভয় হলো বেশি টাকা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এখানে একটি কথা উল্লেখ্য যে, জিগাতলার যে আবসিক হোটেলগুলো আমি তুলে ধরেছি, সবগুলো হোটেল তুলনামূলক অনেক কম দামে ভাড়া দিয়ে থাকে এবং সবগুলো লোকাল হোটেল এর তুলনায় অনেক ভালো। পরিবেশও বেশ সুন্দর। তবে যেই হোটেলেই উঠেন না কেন(যদি আমার সাজেস্টকৃত হোটেলও হয়), অবশ্যই নিজ দায়িত্বে হোটেল ভাড়া করবেন। কেননা, হোটেল ভাড়া করার পর যদি কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হোন, তাহলে কর্তৃপক্ষ (দূরভাষ) দায়ী নয়। তাই নিজ দায়িত্বে এবং নিজ সচেতনতায় হোটেল সিলেক্ট করবেন এবং তা ভাড়া করবেন।
জিগাতলা আবাসিক হোটেল নিয়ে শেষ কথা
ঢাকা জিগাতলা প্রথম এসে যারা যারা আবাসিক হোটেল ভাড়া করতে গিয়েছি, তাদের অধিকাংশ লোকালদের দ্বারা বিভিন্নভাবে প্রতারিত হয়েছে। তাই উপরে সহ নানা জায়গায় আমি এই নিয়ে লিখালিখি করছি। আপনারা যারা জিগাতলা নতুন এসেছেন এবং চাচ্ছেন একটি হোটেল ভাড়া করতে, তারা উপরে দেওয়া মোবাইল নাম্বারগুলোতে ফোন করে জেনে নিতে পারেন বিস্তারিত। কথা বলার পর যদি মনে হয়, এই আবাসিক হোটেলগুলোতেও কোনো রকম দ্বিধা রয়েছে, তাহলে অবশ্যই এড়িয়ে যাবেন।
যাইহোক, এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যে, জিগাতলা আবাসিক হোটেলগুলোকে বেশ ভালোভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। হোটেল বলতে মূলত হোটেল ভাড়া করতে গেলে মানুষগণ কি কি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তার একটা সংক্ষিপ্ত ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি এই ব্যাপারে সামান্যতম হলেও জ্ঞান লাভ করেছেন এবং বোঝতে পেরেছেন। যদি এখনো জিগাতলা আবাসিক হোটেল নিয়ে মনে কোনো প্রশ্ন বা কনফিউশন থাকে, তাহলে দয়া করে নিম্নে কমেন্ট করুন। খুব দ্রুত রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আমি ইকরামুল হক। শুধু মাত্র নিজের প্যাশনেট থেকে ব্লগিং করছি। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে এবং সেই সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। তারই ধারাবাহিকতায়, প্রতিনিয়ত আমার লিখনী প্রকাশ করছি দূরভাষে। সো, স্টে উইথ মি এন্ড নো মোর এন্ড গ্রো ইউর নলেজ।