ছেলে ভাড়া করার ওয়েবসাইট

ছেলে ভাড়া করার ওয়েবসাইট এ আপনি টাকার বিনিময়ে বয়ফ্রেন্ড ভাড়া করতে পারেন খুব সহজেই। তবে এই ক্ষেত্রে আমাদের অনেককে প্রতারণার বা স্ক্যামের স্বীকার হতে হয়। কেন? কারণ আমরা না বুঝে ফেইক কিছু সাইটে আমাদের রিয়েল (আসল) ডাটা প্রোভাইড করি এবং পরোক্ষণে তারা আমাদের আর্থিক সহ নানাভাবে ক্ষতি করে থাকে। তবে সামান্য একটু স্মার্টলি কাজ করতে পারলে অনলাইনে ছেলে ভাড়ার করার ক্ষেত্রে আমাদেরকে স্ক্যামের আর স্বীকার হতে হবে না।

বিশেষ দ্রষ্ট্রব্য: নিজ দায়িত্বে ম্যানশন করা সাইটগুলো ব্যবহার করবেন। স্ক্যামের স্বীকার হলে দূরভাষ কোনোভাবেই দায়ী নয়। অবৈধ কোনো কিছু করা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম।

আজকের আর্টিকেলে আমি ছেলে ভাড়া করার মোট দশটি ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখের পাশাপাশি কিভাবে স্ক্যামের স্বীকার হওয়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন, এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সুতরাং, বিলম্ব না করে চলুন মূল আলোচনায় প্রবেশ করা যাক।

ওয়েবসাইটে/অনলাইনে ছেলে ভাড়া করার নিয়ম

মর্ডান এই যুগে আমরা সবাই মূহর্তেই সব কিছু চাই। আর তারই ধারাবাহিকতায় দিন দিন আমাদের সামগ্রিকভাবে ধৈর্যশক্তি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতেই হবে। অন্যথায় আমাদেরকে কিছু ক্ষতির মুখামুখী হতে হবে। এরমধ্যে অন্যতম একটি হলো অনলাইনে যখন আপনি বয়ফ্রেন্ড বা ছেলে ভাড়া করবেন। দেখুন, আপনি একটি ছেলে ভাড়া করবেন যার সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনি কিছুই জানেন না, সে কেমন সেটাও জানেন না। পাশাপাশি ঐ ছেলের ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কেও জ্ঞাত নয় আপনি। তাহলে কিভাবে একটি ফেইক প্রোফাইলের ছবি এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনি অনলাইনে একটি ছেলেকে খুব সহজেই বিশ্বাস করে ভাড়া করবেন? হ্যা, এই ক্ষেত্রে কিছু টিপস অনুসরণ করতে পারেন। অবশ্যই এক্সট্রা সচেতনতাবোধ আপনার ভিতর তৈরি করবেন। তাহলে চলুন টিপসগুলো জেনে নিই-

• প্রথমে ছেলের প্রোফাইলটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে নিন। দেখে নিন, পূর্বে কোনো রকম স্ক্যাম বা হয়রানিমূলক কার্যক্রম করেছে কি-না।
• হায়ার বা ভাড়া করার পূর্বে অবশ্যই ওর এনআইডি (NID) কার্ডটি দেখে নিবেন। এবং NID Checker দিয়ে কার্ডটি সঠিক কি-না, তা যাচাই করে নিবেন।
• যদি দেখেন,টাকাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে, তাহলে দূরে সরে আসুন।
• ছেলের পরিবার সম্পর্কে জানতে ভুলবেন না।
• ছেলের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে ওর ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে জেনে নিন।
• ওর শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে নিন।

উপরের টিপসগুলো আপনারা অবশ্যই অনুসরণ করবেন, যখন আপনারা ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোনো ছেলে ভাড়া করবেন। অন্যথায় আপনি স্ক্যামের স্বীকার হতে পারেন, যার সম্ভাবণা প্রায় শত পারসেন্ট। যাইহোক, এখন চলুন মূল আলোচনায় প্রবেশ করি। অর্থাৎ, কাঙ্খিত সেই ছেলে ভাড়ার করার ওয়েবসাইটগুলো দেখে নিই।

বয়ফ্রেন্ড বা ছেলে ভাড়া করার দশটি ওয়েবসাইট

আপনি যদি ফেজবুকে সার্চ করেন যে, ছেলে ভাড়া, তাহলে দেখবেন শত শত ফেইজ আপনার সামনে আসবে। কিন্তু এর অধিকাংশই হলো ফ্রড। ঠিক একইভাবে ইন্টারনেটেও রয়েছে এমন শত শত ফেইক/ফ্রড ওয়েবসাইট। যেগুলো মূলত মানুষের সাথে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাধ করে। যাইহোক, ব্যাপক রিসার্চের পর ছেলে ভাড়া করার মোট দশটি ওয়েবসাইট পেয়েছি। সেগুলো হলো-

• Tinder
• Badoo
• OkCupid
• Boo
• Bdsmash
• Muslima
• LoveHabibi
• Coffee Meets Bagel
• Prospr
• Bumble

উপরোক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি খুব সহজেই ছেলে ভাড়া করতে পারবেন। এমনকি, সেখানে আপনি ফ্রিতেও ছেলে পেয়ে যেতে পারেন। তবে যাইহোক, এই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটু বিচক্ষণ হতে হবে। অর্থাৎ, উপরে দেওয়া সতর্কতাগুলো অনুসরণ করতেই হবে। অন্যথায়, স্ক্যামের স্বীকার হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

ছেলে ভাড়া করার ওয়েবসাইট নিয়ে শেষ কথা

ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিভাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা ছেলে ভাড়া করবেন, এই বিষয়ে বিস্তারিত উপরে ব্যাখ্যা করেছি। এখানে উল্লেখ্য যে, ওয়েবসাইট ভাড়া করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে কৌশলি হতে হবে। অন্যথায় আপনাদের জন্য এই জগৎ নয়।

স্ক্যামাররা প্রতিনিয়ত এই সাইটগুলোতে আড়ি পেতে থাকে এবং যখনই তাদের সুযোগ মিলে, তখনই তারা মানুষের সাথে প্রতারণা করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে থাকে। আবার আরেকদিকে তারা আপনাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানিও করে থাকে। তাই প্রথম হতেই আমি আপনাদেরকে বলছি যে, অবশ্যই এই ক্ষেত্রে এক্সট্রা একটু সচেতনতা তৈরি করবেন। যাতে করে ছেলে ভাড়া করার ওয়েবসাইট থেকে আপনি কোনো ভাবেই প্রতারিত না হোন।

যাইহোক, আজকের আর আলোচনা করবো না। আশা করি শ্রীঘ্রই আপনাদের সামনে আরেকটি আর্টিকেল সম্পূর্ণ নতুন টপিকে নিয়ে হাজির হবো। সে অবধি ভালো ও সুস্থ্য থাকুন।