ছেলেদের বড় চুলের ডিজাইন

বেশির ভাগ ছেলেরাই তাদের দেহের অন্য অঙ্গ-পতঙ্গের চেয়ে চুলের যত্নই বেশি নেয়। যে বিধায় চুল কাট দেওয়ার পূর্বে চুলের ধরণ অনুযায়ী প্রত্যেকেই ইন্টারনেট সার্চ দিয়ে শিউর হয়ে নেয় যে, কোন কাট বা চুলের ডিজাইন তার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। আজকের আর্টিকেলে আমরা জাস্ট একটি চুলের ধরণ নিয়ে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি বেশ কিছু ছবিও দেখার চেষ্টা করবো। আর সেটি হলো ছেলেদের বড় চুলের ডিজাইন।

নোট: বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে যে হেয়ার স্টাইলগুলো জনপ্রিয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, শর্ট কাট বা আন্ডার কাট, ক্লাসিক কাট, ফেড কাট, ক্রু কাট, বাজ কাট, লেয়ার স্পাইক, ইমো সুইপ সহ ইত্যাদি। যেগুলোর কোনোটিকেই ইসলাম সমর্থিত কাট বলা যায় না। কারণ প্রতিটি স্টাইলেই মাথার কিছু অংশে বড় চুল ও কিছু অংশে ছোট চুল রাখা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু অংশ ছেঁটে ফেলা হয়। রাসুল (সাঃ) এভাবে চুল কাটতে নিষেধ করেছেন।

বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে ক্রমান্বয়ে দিন দিন বড় চুল রাখার ক্ষেত্রে ছেলেদের মধ্যে একটি আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে। এবং কি আপনি বাহিরে বের হলে দেখবেন ইয়াং ছেলেরা এই ট্রেন্ড এর মধ্যে বেশি রয়েছে। যাইহোক, কাজটি কিন্তু মোটেও খারাপ নয়। কেউ ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে কানের লতি অবধি চুল বড় রাখে। আবার কেউ-বা একদম অনেক বড় রাখে। তবে যখনই সেলুন এ যায় এবং ভাবে কোন চুলের ডিজাইনটি তাঁর জন্য অ্যাপ্রুপিয়েট হবে, তখন তাকে নানা ধরনের দ্বিধার সম্মুখীন হতে হয়। আর সেই দিক বিবেচনা করেই আজকের আর্টিকেলে আমরা চেহেরা, রং ও হাইটের উপর ভিত্তি করে ছেলেদের বড় চুলের বেশ কিছু ডিজাইন তুলে ধরেছি। আশা করি চুল ডিজাইনের ক্ষেত্রে এই তথ্যগুলো বড় চুল ওয়ালা ছেলেদের বেশ উপকারে আসবে। যাইহোক, আলোচনা বিলম্ব না করে চলুন মূল আলোচনায় কিছু ছবি দেখার মাধ্যমে প্রবেশ করি।

ছেলেদের বড় চুলের ডিজাইন ছবি

বাইক লাভারদের বেশিরভাগই বড় চুল রাখতে ভালোবাসে। এছাড়াও ছেলেদের মধ্যে একটি ট্রেন্ড রয়েছে বড় চুল রাখার ক্ষেত্রে। তবে যাই বলুন না কেন, বড় চুল রাখা কিন্তু মোটেও খারাপ না। যদি আপনি আপনার মাথার বড় চুলগুলো ভালোভাবে ম্যানেজ করতে শিখেন, তাহলে এটি আপনার মধ্যে দ্বিগুণ সৌন্দর্য তৈরি করবে। যাইহোক, চলুন দেখে নিই ছেলেদের বড় চুলের ডিজাইন সম্পর্কৃত কিছু ছবি-

উপরে যে ছবিগুলো তুলে ধরেছি, সবগুলো ছবিই হলো ছেলেদের বড় চুলের ডিজাইনকৃত ছবি। যদি আপনারা বড় চুলের ডিজাইনের জন্য আইডিয়া পেতে চান, তাহলে উপরোক্ত ছবিগুলো পারফেক্ট হতে পারে। আর যদি সরাসরি বড় চুলের ডিজাইন কিভাবে করতে হয় বা আপনার চুলের জন্য ডিজাইন করতে চান, তাহলেও আপনারা উপরোক্ত ছবিগুলো হতে যেকোনো একটি ছবি চয়েজ করে সেটির ডিজাইন আপনি আপনার চুলে বাস্তবায়ন করতে পারেন। যাইহোক, যদি উপরে উল্লেখিত বড় চুলের ডিজাইন একটিও পছন্দ না হয়, তাহলে নিম্নে আরো অনেকগুলো ছেলেদের বড় চুলের ডিজাইন তুলে ধরেছি, যেগুলো আশা করি আপনাদের পছন্দ হবে। সুতরাং চলুন সেগুলো দেখে নিই।

ছেলেদের বড় চুলের কাটিং

এবার আমরা দেখবো এমন কিছু ছবি, যেগুলো ছেলেদের বড় চুলের কাটিং হিসেবে ব্যবহার করা যাবে পাশাপাশি চুলের কাটিং দেওয়ার ক্ষেত্রেও একটি ভালো আইডিয়া পাবেন। আলোচনা বিলম্ব না করে চলুন ছেলেদের বড় চুলের কাটিং এর কিছু ছবি দেখে নিই-

উপরোক্ত সবগুলো ছবি হলো ছেলেদের বড় চুলের কাটিং দেওয়ার ক্ষেত্রে একদম পারফ্যাক্ট ছবি। এই ছবিগুলো দেখে আপনারা ধারণা নিতে পারবেন কিভাবে আপনাদের বড় চুলের কাটিং দিবেন। অথবা কিভাবে কাটিং দিলে আপনাদের জন্য বেশ সৌন্দর্যময় হবে, সে ব্যাপারেও একটি পরিপূর্ণ ধারণা নিতে পারেন। তবে যদি আপনি উপরোক্ত ছবিগুলো হতে একটি ছবিও পছন্দ না করে থাকেন, তাহলে নিম্নে দেওয়া লম্বা চুলের ডিজাইনকৃত বাকি ছবিগুলো দেখতে পারেন। আশা করি সেখান হতে আপনারা একটি হলেও পছন্দ করতে সক্ষম হবেন।

ছেলেদের লম্বা চুলের ডিজাইন ছবি

উপরে তো আমরা অনেকগুলো চুলের ছবি দেখেছি, যেগুলো মূলত ছেলেদের লম্বা চুলের উপর ভিত্তি করেই এখানে দেওয়া হয়েছে। এই পর্বেও আমরা আরো অনেকগুলো লম্বা চুলের ছবি দেখবো, যেগুলো একজন লম্বা বা বড় চুল ওয়ালা ব্যক্তি বা ছেলে তার চুলের ডিজাইন করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে। তাহলে চলুন, এবার আমরা দেখে নিই ছেলেদের লম্বা চুলের ডিজাইনকৃত কিছু ছবি-

উপরে যে ছবিগুলো আমি তুলে ধরেছি, এর সবগুলোই হলো ছেলেদের বড় চুলের ডিজাইনের ছবি। আশা করি এই ছবিগুলো আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনে কাজে দিবে। ব্যক্তিগত জীবন বলতে স্ব-চুলের ডিজাইন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে। ‍যদি আপনারা এই ছবিগুলো হতে একটি ছবিও পছন্দ না করে থাকেন, তাহলে দয়া করে নিম্নে দেওয়া বাকি ছবিগুলোও দেখে নিতে পারেন। নিম্নে আমি আরো কিছু ছবি তুলে ধরেছি। চলুন তাহলে সেগুলো দেখে নিই।

লম্বা চুলের ভি হেয়ার কাটিং

এই পর্বে আমরা একটু ভিন্ন কিছু দেখার চেষ্টা করবো। অর্থাৎ, উপরের সমস্ত আর্টিকেলে আরমা দেখেছি ছেলেদের বড় চুলের ডিজাইন সম্পর্কৃত নানা ধরনের ছবি। কিন্তু এখন আমরা লম্বা চুলের ভি হেয়ার কাটিং সম্পর্কে জানার পাশাপাশি কিছু ছবি  দেখবো। যেগুলো মূলত বর্তমানের ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশ পছন্দের তালিকায় রয়েছে। যাইহোক, প্রথমে চলুন দেখে নিই লম্বা চুলের ভি হেয়ার কাটিং এর কিছু ছবি-

উপরের এই পর্বে যতগুলো আমরা তুলে ধরেছি, সবগুলো হলো লম্বা/বড় চুলের ভি হেয়ার কাটিং এর ছবি বা পিক। এখন ছেলেদের মধ্যে যাদের চুল তুলনামূলক লম্বা এবং যারা চায় তাদের চুলগুলো ভি হেয়ার কাটিং করবে, তারা উপরে দেওয়া পিকগুলো হতে একটি পিক পছন্দ করতে পারে। কেননা, এখানে যেগুলো পিক দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ইন্টারনেটে থাকা সবগুলো ছবি হতে সেরা। তাই সর্বপরি বলতে পারি যে, ছেলেদের বড় চুলের ডিজাইন তথা কাটিং দিতে চাইলে অথবা আইডিয়া নিতে চাইলে, উপরোক্ত ছবিগুলো হতে আপনারা বেশ সুন্দর আইডিয়া নিতে পারেন। যা দ্বারা আপনারা পরোক্ষণে উপকৃত হতে পারবেন।

ছেলেদের বড় চুলের ডিজাইন নিয়ে শেষ কথা

ছেলেদের বড় চুলের ডিজাইন নিয়ে শেষ কথা বলতে তেমন কিছুই নেই। তারপরও পাঠকদের কল্যাণের দিক বিবেচনা করে কিছু ধর্মীয় দিক তুলে ধরি। দেখুন, চুল রাখার ক্ষেত্রে আমাদের নবীজি আমাদেরকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এবং কিছু ক্রাইটেরিয়া তুলে ধরেছেন। সেগুলোকে মান্য করার মাধ্যমে আমরা খুব সুন্দর ও সাবলীল একটি চুলের কাটিং তথা ডিজাইন করতে পারি।

এখানে একটি দিক না বললেই নয় যে, বর্তমান ছেলেরা নিজেদের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে তারা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে নতুন নতুন হেয়ার স্টাইলের দিকে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব পায় বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের হেয়ার স্টাইলগুলোই। অথচ রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন,

যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের অনুকরণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪০৩১)

এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় যে, আমরা যদি আমাদের বড় চুলের কাটিং বা ডিজাইন করতে চাই, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ধর্মীয় দিক বিবেচনা করেই চুলের কাটিং দিতে হবে। অন্যথায়, সামান্য একটি কাটিং দেওয়ার মাধ্যমে গুণাহগার হওয়ার ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।

ছেলেদের বড় চুল রাখার ক্ষেত্রে নবীজি তার কানের লতি অবধি রাখাকে উৎসাহিত করেছেন। অর্থাৎ, কোনো ছেলে যদি লম্বা চুল রাখতে চায়, তাহলে সে যেন তার কানের লতি অবধি কেটে ফেলে। আর এটাই হলো ইসলামিক নীতি লম্বা বা বড় চুল রাখার ক্ষেত্রে। তবে আমাদের যুব সমাজ এর উল্টো কাজটি করে থাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। সেটি হলো চুল নিজেদের মতো রাখে এবং সেই চুলের ব্যবহার করে থাকে ফ্যাশন বা লোক দেখানোর ক্ষেত্রে। যেটা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যাইহোক, আজকে আর নয়। আশা করি পরের কোনো নতুন আরেকটি আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আবার কথা হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।