ইসলামিক প্রবাদ বাক্য বা উক্তি, স্ট্যাটাস যাই বলেন না কেন, সামগ্রিকভাবে ইসলামিক নীতিবাক্যকেই বোঝানো হয়। যাইহোক, অনেকে হয়তো নীতিবাক্য শব্দটার অর্থেই বোঝে উঠতে পারেন নি। ব্যাপার না, আজকের আর্টিকেলে আমি ২০০+ ইসলামিক প্রবাদ বাক্য সহ নানা বিষয়ের উপর ইসলামিক উক্তি সহ অসংখ্য স্ট্যাটাস তুলে ধরেছি। আশা করি এখানে উল্লেখ করা প্রতিটি উক্তি বা প্রবাদ বাক্যই আপনাদের জীবন গঠনে কাজে লাগবে। সেই সাথে মানুষের সাথে দৈনন্দিন কথপোকথনেও কাজে লাগবে।
আরো জানুন: জমজ মেয়েদের ইসলামিক নাম সম্পর্কে বিস্তারিত।
দেখুন, ধর্মীয়ভাবে আমরা সবাই হলাম মুসলিম। কিন্তু আপসোস বা পরিতাপের বিষয় হলো মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও আমরা ধর্মীয় দিক থেকে কোনো নীতিকথা অর্জন করতে পারি নি। এখানে সংখ্যাটা হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ। কেননা, আপনি যদি কোনো মুসলিমকে বলেন যে, ৫টা হাদিস বলতে, দেখবেন সেখানে প্রায় ৯০ জন মানুষ বলতে ব্যর্থ হবে। একটাই কারণ, সেটা হলো ধর্মীয় অনুভূতি না থাকার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা পরিপূর্ণ নেই।
যাইহোক, আলোচনা আর বিলম্ব করবো না, ডিরেক্ট চলে যাচ্ছি ইসলামিক প্রবাদ বাক্যগুলো জানার জন্য মূল অংশে। এখানে উল্লেখ্য যে, পাঠকদের পড়ার সুবিধার্থে কয়েক পার্টে আমরা আর্টিকেলটাকে সাজিয়েছি। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় প্রবেশ করা যাক।
২০০+ ইসলামিক প্রবাদ বাক্য
আমরা যারাই ইসলামিক প্রবাদ বাক্য লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিই, তাদের অধিকাংশই সেই প্রবাদ বাক্যগুলো হাদিসের আলোকে শুনতে চাই। অন্যথায় সাহাবি বা তাবেতাবিয়িনদের থেকে প্রচারিত হওয়া উক্তিগুলোই শুনতে চাই। যাইহোক, আজকের আর্টিকেলে আমরা পবিত্র কোরআন থেকে, হাদিস সহ বিখ্যাত মনুষীদের থেকেও তথ্য নিয়ে উক্তিগুলো সাজিয়েছি। আশা করি এখানে উল্লেখিত সবগুলো প্রবাদ বাক্য আপনাদের নিকট বেশ ভালো লাগবে। চলুন এক এক করে সবগুলো প্রবাদ বাক্য জেনে নিই-
সে কী পেলো যে আল্লাহকে হারালো ? সে কী হারালো যে আল্লাহকে পেলো?—- [ইবনু আতা’আল্লাহ আল ইসকান্দারি (রাহিমাহুল্লাহ)]
সন্ত্রাসবাদ কখনোই কোন ধর্মীয় অধিকার নয়। আর ইসলাম সবসময়ই সাধারণ মানুষ হত্যাকে ঘৃণা করে। তাই কেউ চাইলেই এসব হত্যাকান্ডকে ইসলামাইজ করতে পারে না।—-[ডা. জাকির নায়িক]
দ্বীন ও দুনিয়া একসাথে অর্জন করতে কুরআন ও সুন্নাহ্ ব্যতীত অন্য কোন পথ নেই। যদিও মনে হবে দুনিয়া অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে।—- [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
মানুষের খারাপ দিক খোঁজা বন্ধ করুন৷ তাদের ভুলগুলো সহজভাবে গ্রহণ করুন৷ তাদের সাথে ধৈর্যশীল হোন৷ পরিষ্কার একটি হৃদয়ের জন্য সংগ্রাম করুন এবং তাদের ভেতরের ভালটা দেখুন৷—- [শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক]
যখন আপনি কুরআন তিলাওয়াত করেন তখন মনে করবেন আপনি আল্লাহর সাথে কথোপকথন করছেন এবং তিনি সরাসরি আপনাকে বলছেন।—[ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহ)]
যখন পৃথিবীর কেউ আপনাকে বুঝতে চেষ্টা করে না, তখন এতটুকু মনে রাখুন আল্লাহ্ আপনাকে বুঝেন।—- [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
এমন কারো সঙ্গী হোন যে আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।—- [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
কখনো কখনো মানুষ আপনাকে বয়কট করবে, দূরে সরিয়ে দিবে, তবে এগুলোকে পার্সোনালি নিয়ে ভেঙ্গে পড়বেন না। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা হয়তো ওদের দিক থেকে দূরে সরিয়ে তাঁর নিজের দিকেই আপনাকে ডাকছেন।—- [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আল্লাহর কাছে আপনি প্রার্থনা করা বন্ধ করে দিলে তিনি রাগান্বিত হন। অথচ আদম সন্তানের কাছে কিছু প্রার্থনা করলে সে রেগে যায়।— [ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)]
আপনার দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলা-ই রাখেন। তাই তাঁর কাছেই প্রার্থনা করুন।—[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
“কোন ভাই যদি আপনাকে গোপনে কিছু কথা বলে চলে যাবার আগে যদি তা অন্য কাউকে বলতে নিষেধ না করেও থাকেন, তবু কথাগুলো আপনার জন্য আমানাত।—উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
”যিনি ছাড়া কোন রব নেই সেই আল্লাহর কসম, যদি আমার কাছে দুনিয়ার সকল স্বর্ণ এবং রৌপ্য থাকতো, আমি সেগুলোর বিনিময়ে হলেও মৃত্যুর পরে যে ভয়াবহতা রয়েছে তা থেকে বাঁচার চেষ্টা করতাম।”—-উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“অপরের কষ্ট দূর করার জন্য কষ্ট করার মাঝে রয়েছে মহত্বের প্রকৃত নির্যাস।”—- আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
তাঁর (আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার) পক্ষ থেকে আসা প্রতিটি শাস্তিই সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বিচার এবং তাঁর পক্ষ থেকে আসা প্রতিটি কল্যাণ পরিপূর্ণভাবে তার দয়া (রাহমাত)।—– [ইমাম ইবনে তাইমিয়া (মাজমু’ ফাতাওয়া, ১০/৮৫)]
যে স্থানে থাকা আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন সেখানে আপনার উপস্থিতি এবং যেখানে থাকতে আল্লাহ আদেশ করেছেন সেখানে আপনার অনুপস্থিতির ব্যাপারে সাবধান হোন।—–[আবু হাজিম (আল-হিলইয়াহ, ৩/২৩৪)]
নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি একাই একটি শহর দখল করে ফেলে তার চেয়েও শক্তিশালী সেই ব্যক্তি যে নিজের কামনাকে জয় করে।—- [সুলাইমান বিন দাউদ (হিলইয়াহ আল-আউলিয়া, ৬/১৭০৭)]
আপনি যেদিন উপলব্ধি করবেন ইসলামের জন্য কী বিশাল পরিমাণ কাজ করা প্রয়োজন অথচ হাতে কতটা কম সময় রয়েছে, সেদিন বুঝতে পারবেন ছুটির দিন কাটানোর মতো কোন সময় নেই।—- [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
এখনকার তরুণদের সমস্যা হলো, তারা যখনই নতুন কিছু শিখে তখনই মনে করে তারা সব জেনে ফেলেছে।”—– [মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানি (রাহিমাহুল্লাহ)(সিলসিলাত-উল-হুদা ওয়ান-নূর, পৃ ৮৬১)]
তাওহীদ হলো সমস্ত দোয়া, সমস্ত কান্নাকাটি, সাহায্য চেয়ে সমস্ত আবেদন, সমস্ত আশা এবং সকল কল্যাণের আগমন ও সকল ক্ষতি নিবারণের জন্য প্রার্থনা অন্য কেউ নয় বরং কেবলই আল্লাহর উদ্দেশ্যে হতে হবে।—– [ইমাম মুহাম্মাদ আলী আশ-শাওকানী (আল দূর আল-নাদিদ)]
সেরা ইসলামিক প্রবাদ বাক্য
কিভাবে বুঝবো যে, এই উক্তিগুলোই ইসলামিক সেরা প্রবাদ বাক্য? এর কোনো সূত্র বা থিউরি আছে? হ্যা, একটা সূত্র অবশ্য আছে। সেটা হলো আমাদেরকে প্রথমে দেখতে হবে যে, এই প্রবাদ বাক্যগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কেমন প্রভাব বিস্তার করে। এর দেখতে হবে বাস্তবিক জীবনে আমাদের এই প্রবাদ বাক্যগুলো কেমন কাজে লাগে এবং আমাদের জীবনের সাথে মিলে কি-না। এরকম কয়েকটি ব্যাসিক প্রশ্ন নিজেকে করার মাধ্যমেই আমরা বোঝতে পারবো যে, উল্লেখিত এই উক্তিগুলো ইসলামিক সেরা প্রবাদ বাক্য কি-না। আশা করি বিষয়টি বিস্তারিত বোঝতে পেরেছেন। এবার চলুন কিছু সেরা ইসলামিক প্রবাদ বাক্য সম্পর্কে জেনে নিই-
দু’টি নিয়ামত আছে, যে দু’টোতে অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হচ্ছে, সুস্থতা আর অবসর।—– [মুহাম্মাদ (সা)]
আজ আপনি যে ছেলে/মেয়েটার সাথে হারাম সম্পর্কে লিপ্ত আছেন বিচারদিবসে সে-ই আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
কেউ আপনার থেকে দূরে চলে যাওয়াতে অধিক চিন্তিত হবেন না। কারণ তা আল্লাহরই পরিকল্পনা ছিল। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
ভালোবাসা ও দয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়। আর তা বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব ফুটে উঠে। তারা একে অপরকে ভালোবাসে, দয়া করে এবং নিরাপত্তা দেয়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
মুসলিম হওয়া মানে আপনার কোন সমস্যা থাকবেনা এমনটা নয়। তবে আপনার সাথে থাকবে সকল সমস্যার সমাধান দেওয়ার একমাত্র উৎস আল্লাহ্ সুবাহানহুয়া তা'আলা। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
দুঃখজনক কোন বিষয়ে আমাদেরকে সহজে মানিয়ে নিতে বিষয়টিকে এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে যে, আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে মানসিকভাবে দৃঢ় করতেই এমনটা করেছেন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আজ আপনি যে ছেলে/মেয়েটার সাথে হারাম সম্পর্কে লিপ্ত আছেন বিচারদিবসে সে-ই আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
কেউ আপনার থেকে দূরে চলে যাওয়াতে অধিক চিন্তিত হবেন না। কারণ তা আল্লাহরই পরিকল্পনা ছিল। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
ভালোবাসা ও দয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়। আর তা বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব ফুটে উঠে। তারা একে অপরকে ভালোবাসে, দয়া করে এবং নিরাপত্তা দেয়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
একজন মুসলিম স্বামীর প্রথম কর্তব্য হলো তার স্ত্রীকে ইসলামিক পথের নির্দেশনা দেয়া। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আপনি যদি চান আল্লাহ্ আপনার সবগুলো পছন্দনীয় কাজ গ্রহণ করুন, তাহলে আপনি আল্লাহর পছন্দনীয় কাজগুলোই করতে থাকুন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
দ্বীন ও দুনিয়া একসাথে অর্জন করতে কুরআন ও সুন্নাহ্ ব্যতীত অন্য কোন পথ নেই। যদিও মনে হবে দুনিয়া অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
অন্যকে দাওয়াত দিতে গিয়ে নিজেকে ভুলে যাবেন না। কারণ পরিবর্তন নিজেকে দিয়েই শুরু করতে হয়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আমরা কখনোই এতোটা ব্যস্ত নই যে আমাদেরকে সালাত ছেড়ে দিতে হবে। এটা কেবল আমদের গুরুত্বের উপর নির্ভর করে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আমাদের কাজগুলোর মধ্যে ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধগুলোই উত্তম ও প্রশংসাযোগ্য। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
স্বচ্ছ হৃদয় হচ্ছে অন্যকে ক্ষমা করতে পারা হৃদয়। তাই অন্যকে ক্ষমা করুন এবং কারো ক্ষতি করার ইচ্ছা পরিহার করুন। আর তা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করুন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আপনার বন্ধুরাই কিন্তু আপনার জানাজার সালাতে প্রথম কাতারে দাঁড়াবে। তাই এখন থেকেই বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হোন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
অন্যের সম্পদের প্রতি কখনো লোভ করতে যাবেন না। হয়তো এটা তার জন্য পরীক্ষা। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
সৌভাগ্যবান বাবা-মা তারাই যাদের অনুপস্থিতিতেও তাদের জন্য সন্তানেরা দু'আ করে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
ছোট ছোট ইসলামিক উক্তি বা প্রবাদ বাক্য
আমরা অনেকেই বড় বড় আর্টিকেল পড়তে ভালোবাসি না। সংখ্যাটা কিন্তু অনেক বড়। তাই সেই সব পাঠকদের জ্ঞাতার্থে এই পর্বে আমরা ছোট ছোট ইসলামিক উক্তি বা প্রবাদ বাক্য নিয়ে এসেছি বা তুলে ধরেছি। মূলত এটা হলো পাঠকদের সুবিধার্থেই। কম ওয়ার্ড ব্যবহার করে এবং পর্যাপ্ত রিসার্চের মাধ্যমে এই ছোট ছোট প্রবাদ বাক্যগুলো তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। চলুন দ্রুত পড়ে নিই সেই ছোট ছোট ইসলামিক প্রবাদ বাক্যগুলো-
আপনার দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্ তা'আলা-ই রাখেন। তাই তাঁর কাছেই প্রার্থনা করুন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আপনি যদি আজ থেকেও চিন্তা করেন যে আপনার সকল কর্ম আল্লাহ্ তা'আলা দেখছেন, তবে দেখবেন আপনার জীবনে একটু একটু করে হলেও অনেক উন্নতি হচ্ছে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
একাকীত্ব সবসময়ই একটু বিরক্তিকর মনে হয়। তবে যে তাঁর প্রভুর (আল্লাহর) আনুগত্য করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আল্লাহর দয়া নিয়ে কখনোই সন্দেহ প্রকাশ করবেন না। তিনি এক নিমিষেই যেকোন বিপদ থেকে আমাদেরকে মুক্তি দিতে পারেন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আপনার জন্য সবচেয়ে উত্তম স্থান হলো কারো দোয়ায় আপনি উপস্থিত থাকতে পারা। কারণ সে আপনার ব্যাপারে আল্লাহর সাথে কথা বলছে, আর আল্লাহ্ হলো সর্বোত্তম শ্রবণকারী। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
সফল লোকদের ঠোটে যে দুটি জিনিস সবসময়ই থাকে তা হলো- হাসি ও নীরবতা। কারণ এক টুকরো হাসি অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয়, আবার একটু নীরবতা অনেক সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে দেয়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করতে গিয়ে আমরা কখনোই দরিদ্র হয়ে যাবো না। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
যেখানে আল্লাহ্ তা'আলা থামিয়ে দিয়েছেন সেখানে কারো প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। আর এটাই আনুগত্য। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
যখন তুমি দেখবে, নামাজের মধ্যে তোমার অন্তর উপস্থিত থাকছে না, তখন বুঝে নেবে, এটা ইমানের দূর্বলতার কারণ। কঠোর পরিশ্রম করো নিজের ঈমানকে মজবুত করার জন্য।—-[ইমাম ইবনু কুদামাহ আল মাকদিসি (রহ.)]
সেই ব্যক্তিই অভিশপ্ত যে মরে যায় অথচ তার খারাপ কাজগুলো পৃথিবীতে রয়ে যায়।— — [আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)]
তারা আমাদের ভাই-বোনদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখতে চায়, অথচ আমাদের পেছনে রয়েছে বদর, খন্দক, তাবুকের মতো শত শত স্মৃতি।—– [কবি আল মাহমুদ]
আল্লাহকে ভয় করো, কেননা যে তাকে ভয় করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না।—– [উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)]
লোকের প্রশংসায় আনন্দিত হতে এবং লোকের নিন্দায় দুঃখিত হতে আপনার অন্তরকে প্রশ্রয় দেবেন না।—- [ইমাম আবু হামিদ আল-গাজ্জালী (রাহিমাহুল্লাহ)]
নারী-পুরুষের জৈবিক ভালোবাসাকে প্রমোট করতে হয় না। এটা এমনিতেই (সৃষ্টিগতভাবে) প্রমোটেড। এটাকে বরং কন্ট্রোল করতে হয়।—- [ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)
আপনি যদি ইসলামকে চর্চা না করেন, দয়াকরে ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলতে আসবেন না!—-ডা: জাকির নায়িক]
সত্যিকার বন্ধুরাই জান্নাতে (একে অপরের) প্রতিবেশী হতে চায়।—- [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আপনার পাপগুলো আল্লাহর দয়া থেকে বড় নয়। —-[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
মাঝে মাঝে দুঃখের দ্বারা আমারা এমনভাবে দগ্ধ হই যে আমারা ভুলেই যাই এমন অনেক বিষয়, যা আমাদের সুখী করতে পারে। কিছু সময় নিয়ে সেগুলো সম্পর্কে চিন্তা করুন।-—[শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক]
সর্বশক্তিমান কখনোই ঐ ব্যক্তির ভুল প্রকাশ করবেন না যে মানুষের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা থেকে বিরত থাকে। তাই অন্যের পাপ প্রকাশ করা বন্ধ করুন।—-[শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক]
অন্যকে দাওয়াত দিতে গিয়ে নিজেকে ভুলে যাবেন না। কারণ পরিবর্তন নিজেকে দিয়েই শুরু করতে হয়।—- [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
বিশ্বাস নিয়ে ইসলামিক প্রবাদ বাক্য
বিশ্বাস নিয়ে ইসলামিক প্রবাদ বাক্য অনেকেই চান, কিন্ত পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় অধিকাংশকেই হতাশ হতে হয়। যাইহোক, আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই পর্বে আমরা বিশ্বাস নিয়ে কিছু প্রবাদ বাক্য বা উক্তি শোনার চেষ্টা করবো। যেগুলো অবশ্যই হবে ইসলামিক উক্তি। আমাদের জীবনে বিশ্বাস জিনিসটা বেশ বড় একটি রত্ন। যদিও অনেকেই এর মর্যাদা বা ভেল্যু সম্পর্কে অবগত না। যে বিধায় অনেকেই বিশ্বাস জিনিসটাকে অবহেলা করে এবং ক্ষেত্রভেদে ক্রিটিসাইজও করে। তবে যে যাই করুক না কেন, বিশ্বাস এর মতো মহৎ গুণ আমাদেরকে রপ্ত করতেই হবে। তার আগে চলুন জেনে নিই বিশ্বাস নিয়ে আমাদের করা কিছু উক্তি বা প্রবাদ বাক্য। সেগুলো হলো-
আমরা যা শিখছি তা যদি আমাদের বিশ্বাসের উপর কোন প্রভাব ফেলতে না পারে, আমাদেরকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যেতে না পারে, আমাদের বিশ্বাসকে আরো মজবুত করতে না পারে, তাহলে এর অর্থ হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্যে কিংবা নিয়্যাতে ভুল আছে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আপনি যদি চান আল্লাহ্ আপনার সবগুলো পছন্দনীয় কাজ গ্রহণ করুন, তাহলে আপনি আল্লাহর পছন্দনীয় কাজগুলোই করতে থাকুন।—- [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে প্রতিটা বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করুন। কেননা আপনার জন্য কোনটি কল্যাণকর তা তিনিই ভালো জানেন।— [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
যদি কেউ আপনার প্রভুর আনুগত্য পছন্দ না করে তবে আপনারও তাকে পছন্দ করার কোন যুক্তি নেই।—-[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
যে বিষয়ে মনে খটকা লাগে সে বিষয়টা যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।—[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
“কৃপণ ব্যক্তি খোদা হইতে দুরে, লোকসমাজে ঘৃণিত ও দোজখের নিকটবর্তী ”—- আল হাদিস
“আল্লাহ তায়ালার ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন ”—- আল হাদিস
“উহাই শ্রেষ্ঠ দান যাহা হৃদয় হইতে উৎসারিত হয় এবং রসনা হইতে ক্ষরিত হইয়া ব্যথিতের ব্যথা দূর করে ”—- আল হাদিস
“স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে তোমরা কল্যাণের উপদেশ গ্রহণ কর। কেননা তাদেরকে তৈরীই করা হয়েছে পাঁজরের হাড় থেকে, আর পাজরের যা সবচেয়ে বক্র তা উপরের অংশে থাকে। তুমি যদি তা সোজা করতে যাও তবে তা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি এমনি ছেড়ে দাও তবে তা চিরদিন বক্রই থেকে যাবে। অতএব, তাদের ব্যাপারে কল্যাণের অসিয়ত গ্রহণ কর। ”—- আল হাদিস
লোকমান (রহ বলেন: মানুষ যখন গর্ব করে সুন্দরভাবে কথা বলার মাধ্যমে; তুমি তখন গর্ব কর নীরবতা সহকারে অন্যের কথা সুন্দরভাবে শোনার মাধ্যমে।
যখন অনেক উঁচু স্তরে পৌঁছে যাও তখন নিচের দিকে তাকাও যেন দেখতে পাও কারা তোমাকে এ পর্যায়ে পৌঁছতে সাহায্য করেছে। আর আকাশের দিকে তাকাও যেন আল্লাহ তোমার পদযুগল স্থির রাখেন। অর্থাৎ যেন আল্লাহ তোমার এ মর্যাদা ধরে রাখেন।
অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয়।—- হযরত আলী (রঃ)
কথা বলা যদি রূপা হয় তবে নীরব থাকা হচ্ছে সোনা।— [লুকমান (আ:)]
নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তাঁকে নিরবে ডেকে যাওয়া বান্দাদের হতাশ করেন না।—-[ড. বিলাল ফিলিপ্স
পৃথিবীর জীবনটা তিনটি দিনের– গতকালের দিনটিতে যা করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে সেটি চলে গেছে; আগামীকালের দিনটিতে হয়ত আপনি না-ও পৌছতে পারেন; কিন্তু আজকের দিনটি আপনার জন্য সুতরাং যা করার আজই করে নিন।—-[ইমাম আল-হাসান আল-বাসরী (রহ)]
আসক্তের মতো ভালবাসবেন না, ধ্বংসাত্মকভাবে কাউকে ঘৃণা করবেন না।—-[উমার ইবনুল খাত্তাব ( রাঃ)]
যে বিপদ-আপদ ও মুসিবত আপনাকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে দেয়, তা সেই রাহমাতের চাইতে উত্তম যা আপনাকে আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ করে দেয়।—-[ ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)]
দুনিয়া অর্জন নয়, দুনিয়া বিমুখীতাতেই রয়েছে দেহ ও মনের প্রশান্তি।—- [উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)]
ইসলামিক কিছু কথা
এই পর্বেও আমরা ইসলামিক প্রবাদ বাক্যগুলোই জানবো। তবে এখানে কিছু ইসলামিক কথা আছে আপনাদের সাথে। আর সেই মোতাবেক আমরা হেডিংটা দিয়েছি ইসলামিক কিছু কথা নামে। যাইহোক, আমরা যেহেতু অনলাইনে জ্ঞান অন্বেষণ করছি, সুতরাং এখানে আমাদেরকে অনেক অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে যে, হাদিস, কোরআন বা সাহাবি বলে অইসলামিক কথাগুলো আমাদের ব্রেইনে সেটআপ করে নিবে। আর সেই কারনেই আমাদের উচিত, সুন্দর একটি ইসলামিক প্রবাদ বাক্য প্রচার করার পূর্বে অবশ্যই আামাদেরকে সেই প্রবাদ বাক্য বা হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। অন্যথায় আপনাদেরকে ব্রেইন ওয়াশ করার সম্ভাবণা বেড়ে যাবে। আসুন, তাহলে এখন জেনে নিই বাকি ইসলামিক উক্তিগুলো-
আল্লাহর প্রতি আপনার ভালোবাসা যতই বৃদ্ধি পেতে থাকবে, দুনিয়ার প্রতি আপনার ভালোবাসা ততোই কমতে থাকবে।—[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
কখনো কখনো আল্লাহ তা’আলা আমাদের ভোগান্তিতে ফেলেন শুধু এজন্যই যে আমরা যেন তাকে স্মরণ করি।—-[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
সেক্যুলাররা যৌনতাকে প্রমোট করে, আর ইসলাম কন্ট্রোল করতে বলে। উভয়টার ফল ও পরিণতি সবার সামনে পরিস্কার।— [শাইখ আহমাদুল্লাহ]
যদি শরীর প্রদর্শনই (বেপর্দাই) হয় আধুনিকতা, তাহলে পশুরাই সবচেয়ে বেশি আধুনিক!—-[ডা: জাকির নায়িক]
আপনি যদি আপনার মূল্য সঠিকভাবে বুঝতেন, তাহলে কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে পাপ কর্মে লিপ্ত হতেন না।—-[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
ইহকাল ভুলে যারা পরকালে মত্ত হয়ে আছে চলে যাক সব পরপারে বেহেস্তে তাদের আমরা থাকবো এই পৃথিবীর মাটি জলে নীলে, দ্বন্দ্বময় সভ্যতার গতিশীল স্রোতের ধারায় আগামীর স্বপ্নে মুগ্ধ বুনে যাবো সমতার বীজ—- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
পাচটি ঘটনার পূর্বে পাচটি জিনিসকে মূল্যবান মনে করবেঃ তোমার বৃদ্ধ বয়সের পূর্বে তোমার যৌবনকে, ব্যাধির পূর্বে স্বাস্থ্যকে, দরিদ্রতার পূবে সচ্ছলতাকে, কর্মব্যস্ততার পূর্বে অবসরকে এবং মৃত্যুর পুর্বে জীবনকে—- আল হাদিস
নিচ লোকের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে অশ্লীল বাক্য—- হযরত আলী (রা)
কেউ আপনার থেকে দূরে চলে যাওয়াতে অধিক চিন্তিত হবেন না। কারণ তা আল্লাহরই পরিকল্পনা ছিল। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আজ আপনি যে ছেলে/মেয়েটার সাথে হারাম সম্পর্কে লিপ্ত আছেন বিচারদিবসে সে-ই আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে।—–[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
নিশ্চয়ই একজন লোকের কোন কাজ ছাড়া অযথা বসে থাকা দেখতে আমি ঘৃণা করি, যখন সে দুনিয়ার জীবনের জন্য কোন কাজ করছে না, এমনকি আখিরাতের জন্যও কিছু করছে না।—– [আবদুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)]
কোন কিছুকে সংশোধন করতে আমার এত বেশি সংগ্রাম করতে হয়নি, আমার আত্মাকে বশ করতে আমার যত বেশি কঠিন লেগেছে ; কখনো আমি জয়ী হই, কখনো হই পরাজিত। –—–[ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি (বায়োগ্রাফি অফ সুফিয়ান আস-সাওরি : সালাহউদ্দিন ইবন আলী ইবনে আবদুল-মাউজুদ, পৃ ৮৬)]
যে নিজের মর্যাদা বোঝে না অন্যেও তার মর্যাদা দেয় না!—- হযরত আলী (রাঃ)
আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই। তারপর সেই মানুষকে ভয় পাই যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।—- শেখ সাদী
পূর্ণ অর্জন অপেক্ষায়, পাপ বর্জন করা শ্রেষঠতর।—- হজরত আলী (রাঃ)
“এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না। যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে॥ ”—- আইনস্টাইন।
“রমজান গুনাহ মোচনের অন্যতম মাধ্যম ”—- আল হাদিস
“রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয় ”—- আল হাদিস
“ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন ”—- আল হাদিস
“কোন মুমিন পুরুষ যেন কেন মমিন স্ত্রীকে তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞা না করে। তার আচার আচরনের কোনো একটি অপছন্দনীয় হলেও অন্যটি সন্তোষজনক হতে পারে। ”—- আল হাদিস
"ধৈর্য এমন একটি গাছ, যার সারা গায়ে কাটা কিন্তু ফল অত্যন্ত মজাদার ”—- আল হাদিস
নানা রকম ইসলামিক প্রবাদ বাক্য
নানা রকম ইসলামিক প্রবাদ বাক্য বলতে মূলত এখানে এলোমেলোভাবে ইসলামিক প্রবাদ বাক্যগুলোকে শো করা হবে। জাস্ট এতোটুকুই। যাইহোক, ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই আজকের আর্টিকেলে আমরা ইসলামিক বাক্যগুলো শিখতেছি। এবং সেটা অনেক কেয়ারফুলি।
আমাদের জীবনে অর্থাৎ একজন মুসলিম ব্যক্তি গর্বিত হবে তখনই, যখন সে জানতে পারবে তার জাতির অতীত গৌরবময় ইতিহাস। ইসলামের রয়েছে যুগযুগ ধরে গৌরবময় ইতিহাস। কিন্তু আপসোসের বিষয় হলো আমাদের বাচ্চারা সেটা উপলব্ধি করতে পারে না। যদিও এর অনেক কারণ রয়েছে। এরমধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হলো নিজ ধর্মের প্রতি অনীহা। আর এটা তৈরি করেছে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা। আমাদের সন্তানরা অন্য সব দুনিয়াবি বিখ্যাত মানুষদের উক্তি ভালোই আয়ত্ত করতে পারে। কিন্তু ধর্মের দিক থেকে নবী-রাসূল কি বলে গেছে, বা আমাদের সাহাবী-তাবে তাবেয়ীনগণ কী বলে গেছে, কি সব ইসলামিক উক্তি দিয়ে গেছে, সেগুলো আমরা কেয়ার করি না। শুধু দুনিয়াবি তথ্য নিয়েই আমরা পাগল। যে কারণে আমরা ইসলামিক ওয়েতে কথা বলতে পারি না। কোনো একজন ইসলামিক বিখ্যাত মনীষির সম্পর্কে জানি এবং সেই মনীষির উক্তি তো দূরের কথা। আর এই কারণেই এই পর্বে আমরা এলোমেলোভাবে অনেকগুলো ইসলামিক উক্তি বা প্রবাদ বাক্য সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। চলুন সেগুলো জেনে নিই-
“সে ব্যক্তি মুমিন নয় যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে, অথচ তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে ”—- আল হাদিস
“সত্য লোকের নিকট অপ্রিয় হইলেও তাহা প্রচার কর ”—- আল হাদিস
“পাচটি ঘটনার পূর্বে পাচটি জিনিসকে মূল্যবান মনে করবেঃ তোমার বৃদ্ধ বয়সের পূর্বে তোমার যৌবনকে, ব্যাধির পূর্বে স্বাস্থ্যকে, দরিদ্রতার পূবে সচ্ছলতাকে, কর্মব্যস্ততার পূর্বে অবসরকে এবং মৃত্যুর পুর্বে জীবনকে ”—- আল হাদিস
“যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না ”—- হযরত আলী (রাঃ)
জনৈক জ্ঞানী বলেন: সব কিছুই ছোট আকারে শুরু হয় পাপ ছাড়া। কারণ, কেউ বড় পাপ করতে শুরু করলে আস্তে আস্তে তা তার নিকট ছোট মনে হয়। আর কোন কিছু অতিরিক্ত হলে তার মূল্য কমে যায় আদব বা ভদ্রতা ছাড়া। কারণ, আদব যতই বৃদ্ধি পায় তার মূল্য ততই বেড়ে যায়।
তোমার শক্তিমত্তা যখন তোমাকে অন্যায়-অবিচারের দিকে আহবান করে তখন আল্লাহর শক্তিমত্তার কথা স্মরণ কর।
বেলাল বিন রাবাহ (রহ বলেন: “পাপ ছোট কি না তা দেখনা বরং দেখ যার অবাধ্যতা করছ তিনি কত বড়।
অসৎ লোকের ধন – দৌলত পৃথীবিতে সৃষ্ট জীবের বিপদ – আপদের কারণ হয়ে দাঁড়া—- হযরত আলী (রঃ)
সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ—- হযরত আলী (রাঃ)
“কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“বুদ্ধিমানেরা কোনো কিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। আর নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে। ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“দরিদ্রকে দান করিলে সেই দানের জন্য একটি পুরষ্কার আছে। কিন্তু অভাবগ্রস্ত আত্নীয়-স্বজনকে দান করিলে সেই দান করিলে সেই দানের জন্য দুইটি পুরষ্কার আছে, একটি দানের জন্য, অন্যটি আত্নীয়কে সাহায্য করার জন্য। ”—- আল হাদিস
“মানুষের ভিতরে এমন একটি অংশ আছে ওই অংশটি যদি পরিশুদ্ধ হয় তাহলে মানবদেহের পুরো অংশ পরিশুদ্ধ হয়। কিন্তু যদি ওই অংশটি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে মানবদেহের পুরো অংশ নষ্ট হয়ে যায়। সেই অংশটি হলো ”আত্মা”। ”—- আল হাদিস
“মাতা পিতাকে কষ্ট দিবে না। তারা যদি তোমাকে তোমার সন্তান সন্ততি ও বিষয় সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় তবুও।—- আল হাদিস
“শিক্ষা অর্জনে সূদুর চীন দেশে যেতে হলে যাও ”—- আল হাদিস
“সত্য লোকের নিকট অপ্রিয় হইলেও তাহা প্রচার কর ”—- আল হাদিস
“সন্তান তাঁর নামে পরিচিত হবে যার শয্যায় সে ভূমিষ্ঠ হয়েছে ,,, ”—- আল হাদিস
“সত্যবাদীরা সুকর্মের পথ দেখায় আর সুকর্ম বেহেশতের পথ দেখায় ”—- আল হাদিস
“যে-ব্যক্তি বাক্যে কর্মে ও চিন্তায় সত্য নয়, সে প্রকৃত প্রস্তাবে সত্যনিষ্ঠ নহে ”—- আল হাদিস
সত্য নিয়ে ইসলামিক প্রবাদ বাক্য
আপনি যখন ইন্টারনেট তথা গুগল সার্চ করবেন, তখন দেখবেন সত্য নিয়ে ইসলামিক প্রবাদ বাক্য তেমন নেই। আসলে সেটা কেন, তা নিজের অজ্ঞাত রয়েছে। যাইহোক, পাঠকদের চাহিদা পূরণের দিক লক্ষ্য রেখে এই পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করবো যে, সত্য নিয়ে অনেকগুলো প্রবাদ বাক্য। তাও আবার ইসলামিক পদ্ধতিতে। বস্তুত, আমরা অনেক শুনেছি জিহাদের কথা। কিন্তু জিহাদ মানি কি? সবার সামনে সত্যকে সত্য বলতে পারাও এক ধরনের জিহাদ। সেটা হোক নিজের মা-কিংবা বাবা, ভাই-বোন সহ ইত্যাদি আত্মীয় স্বজনদের মঝে। যাইহোক, আমি সেই কমপ্লেস আলোচনায় যাচ্ছি না। তবে জুলুম ও অত্যাচারীদের জ্ঞাতার্থে এখানে কিছু সত্য নিয়ে ইসলামিক প্রবাদ বাক্য তুলে ধরেছি। সেগুলো হলো-
“জুলুম ও অত্যাচারী লোক কিয়ামতের দিন অন্ধ হইয়া উঠিবে ”—- আল হাদিস
“রমজান জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ ”—- আল হাদিস
“উহাই শ্রেষ্ঠ দান যাহা হৃদয় হইতে উৎসারিত হয় এবং রসনা হইতে ক্ষরিত হইয়া ব্যথিতের ব্যথা দূর করে ”—- আল হাদিস
“রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত ”—- আল হাদিস
“ধণী হওয়া ধনের উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে মনের তৃপ্তির উপর ”—- আল হাদিস
“ধনের যদি সদ্ব্যবহার করা হয়, তবে ইহা সুখের কারণ এবং সদুপায়ে ধনবৃদ্ধি করিতে সকলেই বৈধভাবে চেষ্টা করিতে পারে। ”—- আল হাদিস
“সালাত জান্নাতের চাবি ”—- আল হাদিস
আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন। হযরত মোহাম্মদ (সঃ
অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না, সকলকেই সে নিজের মতো ভাবে ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“যে নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“পাপ লুকানোর চেষ্টা করে কোনোদিন সফলকাম হতে পারে না। পাপের কথা স্বীকার করে যদি কেউ তা ত্যাগ করার চেষ্টা করে তবে তার পক্ষে সফলতা লাভ করা স্বাভাবিক ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“বড়দের সম্মান কর, ছোটরা তোমাকে সম্মান করবে ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“হীনব্যক্তির সম্মান করা ও সম্মানীয় ব্যক্তির অপমান করা একই প্রকার দোষের ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“যা সত্য নয় তা কখনো মুখে এনো না । তাহলে তোমার সত্য কথাকেও লোকে অসত্য বলে মনে করবে ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“বুদ্ধিমান ও সত্যবাদী ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সঙ্গ কামনা করো না ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“বুদ্ধিমানেরা কোনো কিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। আর নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে। ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয় ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“মানুষের সাথে তাদের বুদ্ধি পরিমাণ কথা বলো ”—- হযরত আলী (রাঃ)
জীবন নিয়ে ইসলামিক প্রবাদ বাক্য
দেখুন, আমাদের এই জীবনটা মহান আল্লাহ তা’লার দান। এটার যত্ন নেওয়ার আমাদের দায়িত্ব। এখন আমরা মুসলিম ছেলেরা বা মেয়েরা জীবন নিয়ে নানা রকম প্রবাদ বাক্য শুনি কিন্তু ইসলামিক পদ্ধতিতে বা ওয়েতে জীবন নিয়ে কোনো রকম উক্তি শুনি নাই। কেন? কারণ আমাদের রয়েছে অনেক বড় এক ঘেয়েমি ধর্ম চর্চা নিয়ে। যাইহোক, মুসলিম সম্প্রদায়কে অন্তত জানাতে চেয়েই আজকের এই পর্ব তথা জীবন নিয়ে ইসলামিক প্রবাদ বাক্য। আশা করি প্রত্যেকটা প্রবাদ বাক্য আপনার জীবনে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আনবে। তবে আপনাকে অবশ্যই নিজের সাথে সব কিছু মিলিয়ে নিতে হবে এবং সেই সাথে মন থেকে ভাবতে হবে। তাহলে চলুন জীবন নিয়ে সেই প্রবাদ বাক্যগুলো জেনে নিই-
নিশ্চয়ই একজন লোকের কোন কাজ ছাড়া অযথা বসে থাকা দেখতে আমি ঘৃণা করি, যখন সে দুনিয়ার জীবনের জন্য কোন কাজ করছে না, এমনকি আখিরাতের জন্যও কিছু করছে না। - [আবদুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)]
আমাদের জীবনে করা বড় ভুল কখনও কখনও আমাদেরকে পরিবর্তন করে দেয় সবচেয়ে ভালো মানুষে। - [শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক]
আমাদের জীবনে করা বড় ভুল কখনও কখনও আমাদেরকে পরিবর্তন করে দেয় সবচেয়ে ভালো মানুষে।—- [শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক]
“ঝগড়া চরমে পৌঁছার আগেই ক্ষান্ত হও॥ ”—- হযরত সোলায়মান (আঃ)।
“আল্লাহ তায়ালার ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন ”—- আল হাদিস
“তোমরা দ্বীনের দাওয়াত সহজ করো, কঠিন করো না। সুসংবাদ দাও, বিতশ্রদ্ধ করো না ”—- আল হাদিস
“রমজান আল্লাহ ও বান্দার মাঝে নিতান্ত গোপন ইবাদত তাই এর মাধ্যমে আল্লাহ ও বান্দার মাঝে সম্পর্ক দৃঢ়তর হয় ”—- আল হাদিস
“দারিদ্র্যের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করো। কেননা ইহার অভিশাপ মানুষকে কাফেরে পরিনত করে। ”—- আল হাদিস
“পার্থিব বস্তুর আধিক্যকে ধন বলা যায় না। মানসিক সন্তোষই প্রধান ধন। ”—- আল হাদিস
“তোমরা তোমাদের কথা গোপনে বল অথবা প্রকাশ্যে বল, তিনিতো ( আল্লাহ) অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক অবগত ”—- আল হাদিস
“ঈমান না এনে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা ”—- আল হাদিস
“রমজান সামাজিক সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব বোধ সৃষ্টি করে ”—- আল হাদিস
“রোজার মাধ্যমে আচার-আচরণ ও চরিত্র সুন্দর হয় ”—- আল হাদিস
“রোজা কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তির জন্য শুপারিশকারী হবে ”—- আল হাদিস
“রমজান জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল ”—- আল হাদিস
“রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয় ”—- আল হাদিস
ইসলামিক উক্তি পিকচার
আচ্ছা, ইসলামিক উক্তি বা পিকচার বলতে কি বোঝানো হয়? এটার কি কোনো অর্থবহ মিনিং আছে? হ্যা, অবশ্যই আছে। সেটা হলো মূলত ইনপোগ্রাফির মতো। আসুন বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।
আমরা ইন্টারনেট অনেক সার্চ দিই ইসলামিক উক্তি নিয়ে। কিন্তু সার্চের পর দেখবেন লিখিতভাবে অনেক উক্তি আসে ঠিক। তবে আমাদের মন মতো পাচ্ছি না। অর্থা, একদল চায় আরেকটু স্মার্ট ওয়েতে সেই ইসলামিক উক্তিগুলো পেতে। তার জন্য তারা একটি পিকচার খুঁজে। যেটাতে সেই ইসলামিক প্রবাদ বাক্যটা চিত্র সহ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। আশা করি এখন বোঝতে পেরেছেন যে, ইসলামিক উক্তি পিকচার দিয়ে এখানে কি বোঝানো হয়েছে। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, ওয়েবসাইটের লোডিং স্পোডের দিক বিবেচনা করে জাস্ট লিখিত আকারেই আমরা ইসলামিক উক্তি তথা স্ট্যাটাসগুলো তুলে ধরেছি। আশা করি এই দিকটি আমাদের জন্য একটু ছাড় দিবেন। যাইহোক, চলুন তাহলে ইসলামিক উক্তি পিকচারগুলো এক এক করে দেখে নেই-
“যে ব্যক্তি মানুষকে দয়া করে না, আল্লাহ তায়ালা তাহার উপর রহমত বর্ষণ করে না ”—- আল হাদিস
“তোমরা মদপান থেকে বিরত থাক। কেননা এটি যাবতীয় অপকর্মের চাবি। ”—- আল হাদিস
“রমজান আল্লাহর ইবাদতের এক অভূতপূর্ব ট্রেনিং স্বরুপ ”—- আল হাদিস
“রোজা মানুষকে আখেরাত মুখী করে ”—- আল হাদিস
“রোজার পুরষ্কার আল্লাহ নিজ হাতে প্রদান করবেন ”—- আল হাদিস
কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“স্বাস্থ্যের চাইতে বড় সম্পদ এবং অল্পে তুষ্টির চাইতে বগ সুখ আর কিছু নেই ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“যে নিজের মর্যাদা বোঝে না অন্যেও তার মর্যাদা দেয় না! ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“মনে রেখো তোমার শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু, আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রু ”—- হযরত আলী (রাঃ)
“তোমার যা ভাললাগে তাই জগৎকে দান কর, বিনিময়ে তুমিও অনেক ভালো জিনিস লাভ করবে ”—- হযরত আলী (রাঃ)
যদি কেউ আপনার প্রভুর আনুগত্য পছন্দ না করে তবে আপনারও তাকে পছন্দ করার কোন যুক্তি নেই। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
সে কী পেলো যে আল্লাহকে হারালো ? সে কী হারালো যে আল্লাহকে পেলো? - [ইবনু আতা’আল্লাহ আল ইসকান্দারি (রাহিমাহুল্লাহ)]
আপনি যদি ইসলামকে চর্চা না করেন, দয়াকরে ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলতে আসবেন না! -[ডা: জাকির নায়িক]
যদি শরীর প্রদর্শনই (বেপর্দাই) হয় আধুনিকতা, তাহলে পশুরাই সবচেয়ে বেশি আধুনিক! -[ডা: জাকির নায়িক]
নারী-পুরুষের জৈবিক ভালোবাসাকে প্রমোট করতে হয় না। এটা এমনিতেই (সৃষ্টিগতভাবে) প্রমোটেড। এটাকে বরং কন্ট্রোল করতে হয়। - [ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)]
সেক্যুলাররা যৌনতাকে প্রমোট করে, আর ইসলাম কন্ট্রোল করতে বলে। উভয়টার ফল ও পরিণতি সবার সামনে পরিস্কার। - [শাইখ আহমাদুল্লাহ]
লোকের প্রশংসায় আনন্দিত হতে এবং লোকের নিন্দায় দুঃখিত হতে আপনার অন্তরকে প্রশ্রয় দেবেন না। - [ইমাম আবু হামিদ আল-গাজ্জালী (রাহিমাহুল্লাহ)]
কখনো কখনো আল্লাহ তা'আলা আমাদের ভোগান্তিতে ফেলেন শুধু এজন্যই যে আমরা যেন তাকে স্মরণ করি। -[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আল্লাহকে ভয় করো, কেননা যে তাকে ভয় করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না। – [উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)]
অন্যকে দাওয়াত দিতে গিয়ে নিজেকে ভুলে যাবেন না। কারণ পরিবর্তন নিজেকে দিয়েই শুরু করতে হয়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
মানুষের খারাপ দিক খোঁজা বন্ধ করুন৷ তাদের ভুলগুলো সহজভাবে গ্রহণ করুন৷ তাদের সাথে ধৈর্যশীল হোন৷
পরিষ্কার একটি হৃদয়ের জন্য সংগ্রাম করুন এবং তাদের ভেতরের ভালটা দেখুন৷ - [শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক]
ইসলামিক উক্তি বাংলা
ইসলামিক উক্তি বাংলা বলতে মূলত বাংলা ভাষায় ইসলামিক উক্তিগুলোকে তুলে ধরাকেই বোঝানো হয়েছে। আসলে উপরে যে ইসলামিক উক্তিগুলো তুলে ধরেছি, তার সবগুলো বাংলা ভাষাতেই। এখানে আমরা অন্য কোনো ভাষা ব্যবহার করি নাই। তাই এই বিষয়ে আসলে বিস্তারিত বলার তেমন কিছুই নেই। যাইহোক, এই পর্বেও আমরা আরো অনেকগুলো ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে জানবো। চলুন তাহলে সেগুলো জেনে নিই-
সর্বশক্তিমান কখনোই ঐ ব্যক্তির ভুল প্রকাশ করবেন না যে মানুষের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা থেকে বিরত থাকে। তাই অন্যের পাপ প্রকাশ করা বন্ধ করুন। -[শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক]
মাঝে মাঝে দুঃখের দ্বারা আমারা এমনভাবে দগ্ধ হই যে আমারা ভুলেই যাই এমন অনেক বিষয়, যা আমাদের সুখী করতে পারে। কিছু সময় নিয়ে সেগুলো সম্পর্কে চিন্তা করুন। -[শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক]
সন্ত্রাসবাদ কখনোই কোন ধর্মীয় অধিকার নয়। আর ইসলাম সবসময়ই সাধারণ মানুষ হত্যাকে ঘৃণা করে। তাই কেউ চাইলেই এসব হত্যাকান্ডকে ইসলামাইজ করতে পারে না। -[ডা. জাকির নায়িক]
আপনার পাপগুলো আল্লাহর দয়া থেকে বড় নয়। -[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আল্লাহর প্রতি আপনার ভালোবাসা যতই বৃদ্ধি পেতে থাকবে, দুনিয়ার প্রতি আপনার ভালোবাসা ততোই কমতে থাকবে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
তারা আমাদের ভাই-বোনদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখতে চায়, অথচ আমাদের পেছনে রয়েছে বদর, খন্দক, তাবুকের মতো শত শত স্মৃতি। - [কবি আল মাহমুদ]
দুনিয়া অর্জন নয়, দুনিয়া বিমুখীতাতেই রয়েছে দেহ ও মনের প্রশান্তি। - [উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)]
সেই ব্যক্তিই অভিশপ্ত যে মরে যায় অথচ তার খারাপ কাজগুলো পৃথিবীতে রয়ে যায়। — [আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)]
যে বিপদ-আপদ ও মুসিবত আপনাকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে দেয়, তা সেই রাহমাতের চাইতে উত্তম যা আপনাকে আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ করে দেয়। -[ ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)]
যখন তুমি দেখবে, নামাজের মধ্যে তোমার অন্তর উপস্থিত থাকছে না, তখন বুঝে নেবে, এটা ইমানের দূর্বলতার কারণ। কঠোর পরিশ্রম করো নিজের ঈমানকে মজবুত করার জন্য। -[ইমাম ইবনু কুদামাহ আল মাকদিসি (রহ.)]
আসক্তের মতো ভালবাসবেন না, ধ্বংসাত্মকভাবে কাউকে ঘৃণা করবেন না। - [উমার ইবনুল খাত্তাব ( রাঃ)]
এমন দু’টি নিয়ামত আছে, যে দু’টোতে অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হচ্ছে, সুস্থতা আর অবসর। - [মুহাম্মাদ (সা)]
যখন পৃথিবীর কেউ আপনাকে বুঝতে চেষ্টা করে না, তখন এতটুকু মনে রাখুন আল্লাহ্ আপনাকে বুঝেন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে প্রতিটা বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করুন। কেননা আপনার জন্য কোনটি কল্যাণকর তা তিনিই ভালো জানেন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
যখন আপনি কুরআন তিলাওয়াত করেন তখন মনে করবেন আপনি আল্লাহর সাথে কথোপকথন করছেন এবং তিনি সরাসরি আপনাকে বলছেন। - [ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহ)]
আপনি যদি চান আল্লাহ্ আপনার সবগুলো পছন্দনীয় কাজ গ্রহণ করুন, তাহলে আপনি আল্লাহর পছন্দনীয় কাজগুলোই করতে থাকুন। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
দ্বীন ও দুনিয়া একসাথে অর্জন করতে কুরআন ও সুন্নাহ্ ব্যতীত অন্য কোন পথ নেই। যদিও মনে হবে দুনিয়া অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
আপনি যদি আপনার মূল্য সঠিকভাবে বুঝতেন, তাহলে কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে পাপ কর্মে লিপ্ত হতেন না । - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
সত্যিকার বন্ধুরাই জান্নাতে (একে অপরের) প্রতিবেশী হতে চায়। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
পৃথিবীর জীবনটা তিনটি দিনের– গতকালের দিনটিতে যা করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে সেটি চলে গেছে; আগামীকালের দিনটিতে হয়ত আপনি না-ও পৌছতে পারেন; কিন্তু আজকের দিনটি আপনার জন্য সুতরাং যা করার আজই করে নিন। -[ইমাম আল-হাসান আল-বাসরী (রহ)]
ইংরেজি ইসলামিক উক্তি বাংলা অর্থসহ
ইংরেজি ইসলামিক উক্তি বাংলা অর্থসহ বলতে মূলত আমরা ইংরেজী ভাষায় থাকা যত ইসলামিক উক্তি রয়েছে, সেগুলোর বাংলা কনভার্ট করা ভাষায় দেখতে চাওয়াকেই বোঝানো হয়েছে। তবে এখানে অর্থসহ বোঝানোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, আপনি যদি একটি ইংলিশ ইসলামিক উক্তিকে ভালোভাবে জানতে চান, তাহলে অবশ্যই সেটাকে আপনি কনভার্ট করে নিতে হবে আপনার মাতৃভাষায়। তো আমাদের মাতৃভাষা তো বাংলা, সেই প্রেক্ষিতেই মূলত বলা হয়েছে যে, ইসলামিক উক্তি বাংলা অর্থসহ। যাইহোক, আলোচনা বড় না করে চলুন দেখে নেই ইসলামিক সেই উক্তিগুলো-
তাওহীদ হলো সমস্ত দোয়া, সমস্ত কান্নাকাটি, সাহায্য চেয়ে সমস্ত আবেদন, সমস্ত আশা এবং সকল কল্যাণের আগমন ও সকল ক্ষতি নিবারণের জন্য প্রার্থনা অন্য কেউ নয় বরং কেবলই আল্লাহর উদ্দেশ্যে হতে হবে। - [ইমাম মুহাম্মাদ আলী আশ-শাওকানী (আল দূর আল-নাদিদ)]
এখনকার তরুণদের সমস্যা হলো, তারা যখনই নতুন কিছু শিখে তখনই মনে করে তারা সব জেনে ফেলেছে।” - [মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানি (রাহিমাহুল্লাহ)(সিলসিলাত-উল-হুদা ওয়ান-নূর, পৃ ৮৬১)]
আপনি যেদিন উপলব্ধি করবেন ইসলামের জন্য কী বিশাল পরিমাণ কাজ করা প্রয়োজন অথচ হাতে কতটা কম সময় রয়েছে, সেদিন বুঝতে পারবেন ছুটির দিন কাটানোর মতো কোন সময় নেই। - [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
যে স্থানে থাকা আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন সেখানে আপনার উপস্থিতি এবং যেখানে থাকতে আল্লাহ আদেশ করেছেন সেখানে আপনার অনুপস্থিতির ব্যাপারে সাবধান হোন। -[আবু হাজিম (আল-হিলইয়াহ, ৩/২৩৪)]
নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি একাই একটি শহর দখল করে ফেলে তার চেয়েও শক্তিশালী সেই ব্যক্তি যে নিজের কামনাকে জয় করে। - [সুলাইমান বিন দাউদ (হিলইয়াহ আল-আউলিয়া, ৬/১৭০৭)]
তাঁর (আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার) পক্ষ থেকে আসা প্রতিটি শাস্তিই সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বিচার এবং তাঁর পক্ষ থেকে আসা প্রতিটি কল্যাণ পরিপূর্ণভাবে তার দয়া (রাহমাত)। - [ইমাম ইবনে তাইমিয়া (মাজমু’ ফাতাওয়া, ১০/৮৫)]
কোন কিছুকে সংশোধন করতে আমার এত বেশি সংগ্রাম করতে হয়নি, আমার আত্মাকে বশ করতে আমার যত বেশি কঠিন লেগেছে ; কখনো আমি জয়ী হই, কখনো হই পরাজিত। - [ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি (বায়োগ্রাফি অফ সুফিয়ান আস-সাওরি : সালাহউদ্দিন ইবন আলী ইবনে আবদুল-মাউজুদ, পৃ ৮৬)]
উপরে আমরা ইসলামিক প্রবাদ বাক্য নিয়ে বিস্তারিত জেনেছি। আশা করি এই ব্যাপারে আপনাদের মনে আর কোনো রকম দ্বিধা নেই। তারপরও যদি কোনো রকম প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন কমেন্টের মাধ্যমে কিংবা কন্টাক্ট আচ পেজ ব্যবহার করে।
ইসলামিক প্রবাদ বাক্য নিয়ে শেষ কথা
আজকে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছি ইসলামিক প্রবাদ বাক্য সম্পর্কে। আশা করি আপনারা এই সব ইসলামিক উক্তি তথা স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে পেরে একটু হলেও উপকৃত হতে পেরেছেন। তবে ব্যাপার না, আমি দিন দিন নানা ধরনের ইসলামিক স্ট্যাটাস এই ওয়েবসাইট তথা দূরভাষ এ তুলে ধরবো। সেই অবধি আপনারা আমাদের সাথে থাকতে পারেন এবং সাপোর্ট দিতে পারেন।
একটা দিক বোঝার চেষ্টা করুন, আমি ইচ্ছে করলে পার্ট বাই পার্ট না দিয়ে সবগুলো ইসলামিক বাক্য একাধারে দিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু সেটা না করে পার্ট বাই পার্ট দিয়েছি। কেন? কারণ এতে করে পাঠকদের পড়তে এবং বোঝতে সুবিধা হবে।
আপনি নিজেই একটু ভাবুন তো, এই পর্যন্ত আপনি আর্টিকেলটি পড়েছেন কিন্তু আপনার মনে কি একটুও অবসাদ ভাব এসেছে? উত্তর হবে অবশ্যই না। কেননা, এখানে যতগুলো ইসলামিক প্রবাদ বাক্য দিয়েছি, সবগুলোই সাজিয়ে গুছিয়ে দিয়েছি। যে বিধায় আপনাদের পড়তেও ভালো লাগছে আর বোঝতেও। যাইহোক, আজ আর নয়, আশা করি নতুন আরেকটি আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের নিকট আবার ফিরবো। সেই অবধি সুস্থ্য থাকুন ও ভালো থাকুন।
আমি ইকরামুল হক। শুধু মাত্র নিজের প্যাশনেট থেকে ব্লগিং করছি। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে এবং সেই সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। তারই ধারাবাহিকতায়, প্রতিনিয়ত আমার লিখনী প্রকাশ করছি দূরভাষে। সো, স্টে উইথ মি এন্ড নো মোর এন্ড গ্রো ইউর নলেজ।